Site icon janatar kalam

৪ঠা জানুয়ারি ঐতিহাসিক জনসমাবেশে সাক্ষি রইলো রাজ্যবাসী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- মঙ্গলবার রাজ্যে আসেন দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে এসে প্রথমে তিনি এমবিবি বিমানবন্দরের নবনির্মিত সমন্বিত টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। যেটা এমবিবি বিমানবন্দরের নবনির্মিত সমন্বিত টার্মিনালটি 450 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি এক সময়ে প্রায় 500 জন যাত্রী পরিচালনা করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ত্রিপুরায় এমবিবি-র প্রথম সমন্বিত টার্মিনাল বিল্ডিং রয়েছে যা রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করে। নতুন বিমানবন্দর টার্মিনালে 20টি চেক-ইন কাউন্টার, 10টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ছয়টি এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং বেগুলির জন্য অ্যাপ্রন, পাঁচটি কাস্টম কাউন্টার, চারটি যাত্রী বোর্ডিং ব্রিজ এবং একটি হ্যাঙ্গার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাছাড়া মিশন ১০০, বিদ্যাজ্যোতি স্কুল প্রকল্পের ঘোষণা করেন যে প্রকল্পের দ্বারা এটি 100টি উচ্চ/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা সহ বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করবে এবং ত্রিপুরায় শিক্ষার মান উন্নত করবে। তাছাড়া বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের মিশন 100 নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় 1.2 লক্ষ শিক্ষার্থীকে কভার করবে এবং অনুমান করা হয়েছে প্রায় Rs. আগামী 3 বছরে 500 কোটি টাকা।যা ত্রিপুরার শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিক ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্পেরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে প্রকল্পের দ্বাড়া রাজ্যের প্রতিটি গ্রামকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি করে তোলা এবং রাস্তাঘাট বিদ্যুৎ পানীয় জল সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে 6 লক্ষ টাকা এককালীন প্রদান করা হবে বলে জানা যায়। এদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন কোনো রাজ্য পিছিয়ে আবার কোনো রাজ্য এগিয়ে থাকবে , রাষ্ট্র বিকাশের জন্যে এটি একবারেই উচিত নয়। প্রথমে ত্রিপুরার বিকাশের গাড়িটি লাগামহীন ছিল। ত্রিপুরার মানুষের জীবনে উন্নয়নের গতি ছিলনা। আমি ত্রিপুরাকে ‘ হীরা ‘ দেবার কথা দিয়েছিলাম। ত্রিপুরায় যুগ্ম চলছে । “ হীরা ’ মানে H- হাইওয়ে I- ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, R- রেলওয়ে কানেষ্ঠিডিটি , A- এয়ার কানেক্টিভিটি , ত্রিপুরার উন্নয়নের বর্তমান চিত্র নবনির্মিত এয়ারপোর্ট কে দেখলেই বোঝা যায়। ত্রিপুরা এখন বাণিজ্যের অন্যতম করিডোর হতে চলেছে । তাছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন এবং সরকারি প্রকল্পগুলো তুলে ধরেন। তাছাড়া এদিন ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচলের প্রতিমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আজকের দিনটি আগেরতলার জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন।সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের মিলন সঙ্গম হল ত্রিপুরা, আর এই সঙ্গমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংকল্প অনুযায়ী আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে ত্রিপুরায় যেটি হল এয়ার কানেক্টিভিটি। তাছাড়া তিনি এদিন আরও বলেন ৭০ বছর ধরে যে সরকার ছিল তা থাকাকালীন উত্তর পূর্ব ভারতে মাত্র ৬টি বিমানবন্দর ছিল কিন্তু দেশের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭বছরের মধ্যে উত্তর পূর্ব ভারতে ১৫টি বিমানবন্দর এবং ১৭ হ্যালিপেড বানিয়েছেন বলে মত প্রকাশ করেন ও ডবল ইঞ্জিনের সরকার ডবল কাজ করে রাজ্যবাসী সমর্পন করেছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির আন্তরিক দৃষ্টিতে উত্তর-পূর্বের আট লক্ষ্মীর মধ্যে পার্বত্য ত্রিপুরায় সমৃদ্ধির সূর্য উঠেছে। উন্নত জাতীয় সড়ক, ক্লাস্টার এক্সপ্রেস রেল এবং মোদীজির হ্যান্ডশেকের সাথে আজ চালু করা অত্যাধুনিক অবকাঠামো এবং পরিষেবা সহ অত্যাধুনিক এমবিবি বিমানবন্দর, দেশের রাজধানী থেকে ভৌগোলিক দূরত্বের পাশাপাশি উন্নয়ন বৈষম্য কমিয়েছে। ত্রিপুরার জনগণের আস্থা ও অকৃত্রিম ভালবাসার বিনিময়ে উন্নয়ন দ্বিগুণ করার মতো মোদিজির বাকপটু বক্তব্য, আজ ত্রিপুরার সামগ্রিক সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন আজকের দিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর আশিস বানি শুনার দিন, ত্রিপুরাবাসি ২০১৮ পরিবর্তনের পর স্বভিমানি হয়েছে, আত্মনির্ভর হতে শিখেছে, নিজে নিজে নতুন কিছু আাবিষ্কার করতে শিখেছে, তাছাড়া জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাজ্যবাসীর যা যা দরকার সেইসব দিক দিয়ে সরকার তাদের পাশে সবসময় থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তদারকির কারণে এতদূর যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তিন বছর আগে ত্রিপুরা দেখতে বিপরীত। কিছু পেতে মন্ত্রী, বিধায়কদের সামনে বিক্ষোভে বসেন মানুষ। কিন্তু এখন এসবের কিছুই হয় না। ত্রিপুরার জনগণের নাগালের মধ্যে সবকিছু নিয়ে আসছেন মোদি। এমবিবি বিমানবন্দরের নবনির্মিত সমন্বিত টার্মিনাল, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প এই কথার উদাহরণ। এদিনের জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ রাজ্য মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যরা।

Exit mobile version