জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি এই বছরের শুরুতে ত্রিপুরায় দু’দিনের সফর এসেছেন । রবিবার বিকেলে আগরতলায় পৌঁছে পশ্চিম ত্রিপুরার চতুর্দোষ দেবতা মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এর পরে অভিষেক অভিযোগ করেন, “যারা নিজেদেরকে হিন্দু ধর্মের ধারক-বাহক বলে মনে করে, তারা আমাকে থামানোর জন্য মন্দির চত্বরে ডিজে বাজায়। আমি একটা কথা বলব, পিঁপড়ার পাখা বাড়ে এবং মরে যায়।” বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে কৌশল তৈরি করতে ত্রিপুরায় টিএমসি এই বছরের শুরুতে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সফরের শুরুতে মন্দিরে পূজা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর পরেই বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “বিপ্লব দেবের সরকার ত্রিপুরাকে রাব্বি বানিয়েছে। রাস্তা যেন মৃত্যু ফাঁদের মতো। কর্মক্ষেত্রে দুর্নীতি আছে। আমরা এই সবের বিরুদ্ধে লড়াই করব।” একইসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, “আমি তাদের এক একর জমিও ছাড়ব না, আমি যুদ্ধ ছাড়া জমি দেব না।” প্রাক ভোটে উঠে এসেছে তৃণমূল শিবির। আগরতলায় তারা ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। তেলিয়ামুরা, সোনামুরা ২৬-৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। প্রাক-নির্বাচনে ত্রিপুরায় দ্বিতীয় দল হয়েছে তৃণমূল। সেই তথ্য উল্লেখ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এটা বিপ্লবের শেষের শুরু। প্রচারের তিন মাসের মধ্যে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভূত হয়। আমরাই একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছি। যেখানেই যাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখি। আমরা জনগণের পাশে আছি। আমি লড়াই করে বিজেপিকে পরাজিত করব। “