জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- হাফতা না পেয়ে লোক দেখানো অভিযান নিয়ে ব্যাস্ত বিশালগড় থানার পুলিশ। একদিকে বিশালগড় মহকুমার অলিগলিতে চলছে নেশা কারবারীদের রমরমা বাণিজ্য, আর অন্যদিকে পুলিশ ব্যাস্ত লোক দেখানো অভিযান নিয়ে। খবরে প্রকাশ বৃহস্পতিবার বিশালগড় থানার পুলিশের দেওয়া মৌখিক তথ্য অনুযায়ী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশালগড় থানার পুলিশ এবং বিএসএফ ও বনদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে ২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে বিশালগড় মহকুমার অন্তর্গত চেলিখলা এলাকায় ১০টি প্লটে প্রায় ৩০ হাজার গাঁজা গাছ ধ্বংস করে। এদিন এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশালগড় থানার ওসি দেবাশীষ সাহা সহ বিশাল পুলিশ এবং টি এস আর বাহিনী। যদিও সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বিশালগড় থানার ওসি দেবাশীষ সাহা এই ব্যাপারে মুখ খুলেনি। যা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাইছে রাজ্যকে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা হিসাবে গড়ে তুলতে। কিন্তু একাংশ নেশা কারবারীদের বাড়বাড়ন্তে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। তারই একটি প্রমাণ বিশালগড় মহকুমায়। বিশালগড়ের বিভিন্ন এলাকার অলিগতিতে নেশা কারবারীরা নেশার রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছে দিনের পর দিন। শুধু তাই নয় বিশালগড় রেলস্টেশনের ভিতরে সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় নেশা কারবারীদের রমরমা বাণিজ্য। গভীর রাত পর্যন্ত চলে নেশার রমরমা বাণিজ্য। অন্যদিকে বিশালগড় নবনির্মিত বাইপাসেও চলে নেশা বাণিজ্য। কিন্তু বিশালগড় থানার পুলিশ এই ব্যাপারে জেনেও মোটা অঙ্কের বিনিময়ে না জানার ভান করে বসে আছে। এদিকে বিশালগড় থানার ওসি দেবাশীষ সাহা সম্প্রতি ডি এস পি পদে পদোন্নতি পেলেও কাজের ক্ষেত্রে শূন্য। এক কথায় বলা যায় বিশালগড় মহকুমা ধ্বংস হচ্ছে নেশা কারবারীদের জন্য আর বিশালগড় থানার পুলিশ যেই সকল চুনোপুটি নেশা কারবারিদের থেকে হাফতা না পায় শুধু মাত্র তাদের উপর লোকদেখানো অভিযান নিয়ে চালাতে ব্যস্ত।