জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইটভাটা শ্রমিকদের এখন থেকে কয়লা কিনে কয়লা কেনে কাজ করতে হবে এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ইটভাটার শ্রমিকরা বিপাকে পড়ে গেছে। তাছাড়া বিগত সরকারের আমলে যে সংখ্যায় ইটভাটা ছিল এই সরকারের আমলে তা সংখ্যায় কমে গেছে এবং শ্রমিকদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছে তাদের সংসার প্রতিপালন করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাই ১০ দফা দাবি নিয়ে রাজ্যের শ্রম দপ্তরে শ্রম কমিশনারের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করেন ত্রিপুরা রাজ্য ইট ভাট্টা ইউনিয়ন। তাদের দাবীগুলি নিম্নরূপ যথাক্রমে ১ ) ইট ভাটা শ্রমিকদের মজুরি চলতিবর্ষে নুন্যতম ২০ শতাংশ অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে । ২ ) ইট ভাট্টাগুলিতে তীব্র কয়লার ( জ্বালানী হিসাবে ) সংকটে ভাট্টা গুলি বন্ধ হওয়ার পথে । রাজ্য সরকারের উদাসীন ভূমিকা এবং জটিলতার জন্য বর্হিঃ রাজ্য ও পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কয়লা যোগানের তীব্র সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে । এই সমস্যার জন্যে । ভাট্টা গুলি বন্ধ হলে ইট ভাট্টায় কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে যাবেন । । এই সমস্যা সমাধান করতে হবে । ৩ ) রাজ্যে ইট ভাট্টা গুলিতে বসবাসকারী শ্রমিকদের বাসস্থান পাকা করা , পরিশ্রুত পানীয় জলের সুব্যবস্থা , শৌচালয় পাকা করা , ঘরে বৈদ্যুতি আলোর ব্যবস্থা , চিকিৎসার সুব্যবস্থা ( ঔষধসহ ) , রান্নার প্রয়োজনীয় জ্বালানী ব্যবস্থা , সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদি সমস্যাগুলির ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে । ৪ ) ভাট্টার কর্মরত আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সুনিশ্চিত করতে হবে । শ্রমিকদের কাজের হিসাব – নিকাশ সঠিক ভাবে শ্রমদপ্তরের ৫ ) ভাট্টার শ্রমিকদের কাজের হিসাবের পাশ বুক ( হিসাবের খাতা ) সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করে শ্রমিকদের দিতে হবে । ৬ ) শ্রমিকদের বহিঃ রাজ্য থেকে নিয়ে আসা ও কাজ শেষে নিজ নিজ রাজ্যে বাসস্থান এলাকায় পাঠানোর জন্য সমস্ত দায়িত্ব ভাট্টা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে । ৭ ) ইট ভাট্টায় কর্মরত মহিলা শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এদিন ইটভাট্টা ইউনিয়নের নেতৃত্ব আরও বলেন এই বিষয়ে ইটভাটার কর্তৃপক্ষদের যত্ন সহকারে দায়িত্ব নেওয়া দরকার এবং রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রাখেন এ বিষয়ে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে।