জনতার কলম ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ- আজ খোয়াই জেলায় “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে খোয়াই জেলার জেলা শাসকের অফিসের কনফারেন্স হল ঘরে এক উচ্চস্তরীয় পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি ও যুব কল্যাণ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ,ত্রিপুরা সরকারের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর ২০২২ সালের মধ্যে “জল জীবন প্রকল্প” এর মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের বাড়ী বাড়ী নলের মাধ্যমে স্বচ্ছ পানীয় জল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির “হর ঘর জল” শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমার পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর দিনরাত্রি নিরলসভাবে “মিশন মুডে” কাজ করে চলেছে।আমাদের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির মার্গদর্শনে এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব-জী’র সুযোগ্য নির্দেশনা ও পরিচালনায় ২০২২ সালের মধ্যে আমাদের রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে নল বাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে সরকার। “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের সাথে যুক্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত হয়ে এই মিশনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠকে খোয়াই জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় ‘হর ঘর জল’ নিশ্চিত করার জন্য জল জীবন মিশনের বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই প্রকল্পে সঠিক পদ্ধতি মেনে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ হচ্ছে কিনা তা জানতে প্রতিমাসে নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন জেলায় পর্যালোচনা বৈঠক করে চলেছি । আজকের এই বৈঠকে খোয়াই জেলায় “জল জীবন মিশন” সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন এবং এ পর্যন্ত কতটা কাজ হয়েছে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য কিভাবে আরও দ্রুত কাজ করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আজকের এই উচ্চস্তরীয় পর্যালোচনা বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণপুর কেন্দ্রের বিধায়ক শ্রী পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জেলার জেলা শাসক শ্রীমতি স্মিতা মল, ‘পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান’ দপ্তরের সচিব শ্রী কিরণ গিত্যে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা,কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস (রায়), খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস, মুঙ্গিয়াকামী ব্লক অ্যাডভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার রাজীব দেববর্মা, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক, কল্যানপুর , তুলাশিখর,খোয়াই,তেলিয়ামুড়া,পদ্মবিল,মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকেরা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, প্রকল্পের সাথে যুক্ত নির্বাহী/সহকারী বাস্তকার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।