জনতার কলম ত্রিপুরার, চড়িলাম প্রতিনিধি :-
কল সেন্টারে বসে স্পট বিল নিয়ে গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিলেন খোদ বিদ্যুৎ নিগমের ডি জি এম
চরিলাম বিদ্যুৎ কলসেন্টার অফিসে বসে স্পট বিলের এর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোন অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখলেন এবং গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বললেন খোদ বিদ্যুৎ নিগমের বিশালগড় ইলেকট্রিক ডিজিএম অর্থাৎ ডিভিশনাল জেনারেল ম্যানেজার রাজীব কুমার রায়। সঙ্গে ছিলেন বিশ্রামগঞ্জ বিদ্যুৎ নিগমের সিনিয়র ম্যানেজার সজল কান্তি ভৌমিক এবং ম্যানেজার বাইথু্্ দেববর্মা। চরিলাম এ নতুন করে চালু হয়েছে স্পর্ট বিলিং। এই নতুন সিস্টেমে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল দিয়ে দেওয়া হবে। পুরাতন সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে বাতিল হয়েছে। এই নতুন r.m.s. অর্থাৎ রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ গ্রাহকদেরকে সঙ্গে সঙ্গে স্পোর্ট বিল দেওয়া হবে। এই সিস্টেমে স্পর্ট কালেকশন ও দেওয়ার সুযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। তবে সেটা এখন চরিলাম এ চালু হবে না। নি গম স্পট কালেকশন নিয়ে ও ভাবছে বলে জানান ডিজিএম রাজীব কুমার রায়। গ্রাহকদের কিভাবে আরো উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া যায় তা নিয়ে নিগম আরো বেশি চিন্তাভাবনা করছে। পূর্বে যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল করত তাদেরকে দুইবার গ্রাহকদের বাড়িতে যেতে হতো। একবার মিটার রিডিং দেখে লিখে নিয়ে যেত। তারপর আবার বিলের কাগজ গ্রাহকদের বাড়ি দিয়ে আসতে হতো। অনেক সময় যারা বিল করত অনেক গ্রাহকের বিলে ভুলভ্রান্তি থাকতো জানিয়ে সমস্যা হতো। এই নতুন সিস্টেমে বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না বলে জানান ডিজিএম। কারণ যারা বিল করবে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি যাবে তাদেরকে নি গম থেকে নতুন মোবাইল দেওয়া হয়েছে এবং নতুন আরএমএস অ্যাপস দেওয়া হয়েছে। যারা বিল করবে তারা গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে মোবাইল দিয়ে মিটার রিডিং ছবি তোলা মাত্র বিল জেনারেট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ভুলের কোন সম্ভাবনা থাকবে না। এবং প্রত্যেক বাড়ির বিল হতে হবে এবং বিল করতে হবে মিটার রিডার দেয়। এমনটাই জানান নিগমের আধিকারিকরা শুক্রবার চরিলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টার অফিসে বসে। আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষন চরিলাম কল সেন্টারে বসে স্পোর্ট বিলিং এ গ্রাহকদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ শুনেছেন এবং উত্তর দিয়েছেন। কিছু কিছু গ্রাহক বলেছেন স্পট বিলিং এ বিল বেশি এসেছে। তখন আধিকারিকরা বলেন এমনটা নয়। আসলে নতুন আরএমএস সিস্টেম এ লাগু করতে দুই মাস সময় লেগেছে। যার ফলে দুই মাসের বিল একসঙ্গে এসেছে যার জন্য গ্রাহকদের একটু বেশি মনে হচ্ছে বলে জানান ডিজিএম। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হবে। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে। কারণ হঠাৎ করে নতুন একটা সিস্টেম চালু হলে কয়দিন একটু সমস্যা হয় বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ডিজিএম আরো জানান অন্যান্য বছর দুর্গা পূজার আগে কর্পোরেট থেকে মেনটেনিস বাবদ যা দেওয়া হতো এই বছর মেনটেনিস বাবদ অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে কর্পোরেট। যাতে করে দুর্গাপূজা এবং অন্যান্য দিনগুলোতে লোডশেডিং না হয় এবং গ্রাহকরা যাতে পরিষেবা পায়।