জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-প্রয়াত কবি মন্ত্রী অনিল সরকারের 82 তম জন্মদিন সারা রাজ্যে পালন করা হয়। মূল অনুষ্ঠান করা হয় আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে ত্রিপুরার তপশিলি জাতি ও সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে । এদিন প্রয়াত কবি মন্ত্রী অনিল সরকারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তপশিলি সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিধায়ক সুধন দাস,সহ সমন্বয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। অনিল সরকার ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা করেন কুমিল্লার বিখ্যাত ঈশ্বর পাঠশালায়। আগরতলার এম বি বি কলেজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্ম জীবন সম্পাদনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ ও বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জনমত গঠনে তিনি ত্রিপুরায় ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আগরতলায় আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের শিল্পী, লেখক ও কবিদের দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে উদ্যোগী ভূমিকা নেন । তিনি বাংলা ভাষায় অনেক কবিতার বই লিখেছেন, তার কবিতার বই একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে লেখার জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারও লাভ করেন । ত্রাণ শিবিরে শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় পিপলস রিলিফ কমিটির উদ্যোগে তিনি ওষুধ সংগ্রহ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ত্রিপুরায় মাণিক সরকারের আমলে তিনি আটবার বিধায়ক ও মন্ত্রী ছিলেন। উনার লেখা অনেক বই এখনো রাজ্যেও বহি রাজ্যে চর্চা হচ্ছে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক সুধন দাস কবিমন্ত্রীর বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান বর্তমানে আর এস এস বিজেপি পরিচালিত এই সরকারের আমলে দলিত অংশের মানুষেরা সবচাইতে বেশি শোষিত এবং নিপীড়িত, যাদের জন্য প্রয়াতঃ কবি মন্ত্রী অনিল সরকার কাজ করে গিয়েছেন। অনিল সরকার অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং তিনি কুমিল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করার পরও আগরতলায় এসে উচ্চশিক্ষা লাভের পর শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কিন্তু সেই কাজ তিনি দলিত ও শোষিত অংশের মানুষদের জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালাতে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন, দলিত অংশের মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার দিকে কবি মন্ত্রী অনিল সরকারের অবদান চির স্মরণীয় থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।