জনতার কলম ত্রিপুরা তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি:- একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বরাবরের মতোই বলে চলেছেন “নেশামুক্ত ত্রিপুরা” গড়ার । আর এইদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব’র “নেশামুক্ত ত্রিপুরা” গড়ার স্লোগানকে বরাবরের মতোই একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়েই এই করোনা কারফিউতেও চলছে রাজ্যের নেশা কারবারী তথা গাঁজা মাফিয়াদের অবৈধ নেশার রমরমা বাণিজ্য । এখন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের “নেশামুক্ত ত্রিপুরা” গড়ার স্বপ্ন আদৌও যে বাস্তবে কোনদিন পরিপূর্ণ হবে না সেটা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না । ৭৫ তম ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক লগ্নে নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার নেতৃত্বে মুঙ্গিয়াকামী থানার ওসি দ্রেবাজয় রিয়াং সহ বিশাল পুলিশ ও CRPF বাহিনী নিয়ে ফের একবার মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ বিরাট সাফল্য অর্জন করে । উল্লেখ্য, একটি ১২ চাকার পণ্যবাহী লড়ি WB 43 3157 তে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৩১০ কেজি অবৈধ শুকনো গাঁজার প্যাকেট । যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে পুলিশ সূত্রে অনুমান । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আর মাত্র কয়েক প্রহর পেরিয়েই ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন । আর এই উপলক্ষে দিনভর তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে জোর কদমে পুলিশের টহলদারি জারি । আর পুলিশের এই টহলদারি জারি থাকার সময় আজ শুক্রবার সাত সকাল আনুমানিক ৭ টা নাগাদ তেলিয়ামুড়ার দিক থেকে অবৈধ শুকনো গাঁজা বুঝাই একটি ১২ চাকার পণ্যবাহী লড়ি পাচারের উদ্দেশ্য নিয়ে বহিঃরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে পারি দিচ্ছিল । কিন্তু এইদিকে সাত সকাল থেকেই মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন ৩৭ মাইল এলাকায় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরন জমাতিয়ার নেতৃত্বে মুঙ্গিয়াকামী থানার বিশাল পুলিশ ও CRPF বাহিনী ভেহিকেল চেকিং করতে বসে । এমন সময় মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ তেলিয়ামুড়ার দিক থেকে আগত WB 43 3157 নম্বরের ১২ চাকার একটি পণ্যবাহী লরিটিতে উঠে তল্লাশি অভিযান চালায় । তল্লাশি চালিয়ে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ এই পণ্যবাহী লরিটি থেকে উদ্ধার করে অনেকগুলি তথা ৩১০ কেজি অবৈধ শুকনো গাঁজার প্যাকেট । যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায় । সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এই পণ্যবাহী ১২ চাকার লড়িটির চালক আনসার কাজী, ও সহ-চালক বঙ্কিম হাজরা, সহ কে লরিটিকে আটক করে মুঙ্গিয়াকামী থানায় নিয়ে আসে । জানা যায়, এই ১২ চাকার লড়িটির চালক ও সহ-চালক দু’জনের বাড়িই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় । পরবর্তীতে একটি সূত্র মারফত জানা যায় যে, এই অবৈধ শুকনো গাঁজার প্যাকেটগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় আনুমানিক ২ টা নাগাদ তেলিয়ামুড়ার নেশা-মাফিয়ারা তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ বাবুদের একপ্রকার ঘুমে আচ্ছন্ন রেখে তেলিয়ামুড়ার ইচারবিলের রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তেলিয়ামুড়ারই কোন এক রাঘব বোয়াল নেশা-কারবারী একটি সাদা রঙের মিনি “BOLERO” পিক আপ পণ্যবাহী গাড়ি দিয়ে গাঁজা এনে এই ১২ চাকার লরিটিতে উঠিয়ে দেওয়া হয় বহিঃরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে পাচারের জন্য । পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জোর জিজ্ঞাসাবাদে লড়িটির চালক ও সহ চালকদের কাছ থেকে উদ্ধার করে নগদ মোট ৪০,০০০ টাকা সহ ২’টি মোবাইল ফোন । তবে ফের একবার সাত সকালে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরন জমাতিয়ার নেতৃত্বে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের নেশা-বিরোধী অভিযানে নেমে স্বাধীনতা দিবসের প্রাকলগ্নে এইরকম বিরাট সাফল্যে তেলিয়ামুড়া মহকুমা জুড়ে খুশির আভাস বিরাজ করছে ।