জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন একজন ভারতীয়-বাঙালি বিপ্লবী যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে গাড়িতে ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আছে ভেবে তাকে গুপ্তহত্যা করার জন্যে বোমা ছুঁড়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন, যে ঘটনার ফলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়, যারা ছিলেন মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা। প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হন। দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তার বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসির আদেশ হয়। ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৭ মাস এবং ১১ দিন, যেটা তাকে ভারতের কনিষ্ঠতম ভারতের বিপ্লবী অভিধায় অভিষিক্ত করেছিল। মহাত্মা গান্ধি ক্ষুদিরামকে সর্মথন তো করেননি, ইংরেজদের বিরুদ্ধে হিংসাকে নিন্দা করেন, দুজন নিরপরাধ মহিলার মৃত্যুতে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, “ভারতীয় জনগণ এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবেনা। বুধবার ক্ষুদিরাম বসুর 114 তম শহীদান দিবস উপলক্ষে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন তিনি ক্ষুদিরাম বসুর শহীদান দিবসে উনার জীবনী প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী যে দুর্বার আন্দোলন করে ব্রিটিশ কে তাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বর্তমান ভারত বর্ষ স্বাধীন হয়েছে তাই তাদের আত্ম বলিদান কখনো ভুলার মত নয়, ঐ সমস্ত বীর বিপ্লবীদের ভারতবর্ষের জনগণ কখনো ভুলবেন না বলেও জানান তিনি।