Site icon janatar kalam

সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে রাজবাড়ীতে আজ থেকে শুরু হল কের পূজা

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- শুরু হলো রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কের পূজা। এই কের-পূজা শুরু হয়েছিল মহারাজ ত্রিলোচনের পত্নী পদ্মাবতীর হাতেধরে। খার্চী পূজার চৌদ্দ-দিন পর শনিবার বা মঙ্গলবার এই পূজার প্রচলন রয়েছে। কের-পূজাতে শিব-পার্বতী তথা নাকড়ী দেবতার প্রতীক তৈরি করা হয় কারুকার্য মণ্ডিত দু’টি কাটা বাঁশ দিয়ে। কের-পূজার শুরুতে লম্পরা দেবতার পূজা করা হয়, এই দেবতা কে ভগবান বিষ্ণু বলে অবিহিত করা হয় এর প্রতীক হিসাবে আটটি কাঁচা বাঁশের কারুকার্য মণ্ডিত দণ্ড ব্যবহার করা হয়। দেব দেবীর উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয় মুরগ, পায়রা, পাঠা অথবা মহিষ। কের-পূজা মঙ্গলবার শুরু হলেও সোমবার রাতে প্রধান পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজার অধিবাস শুরু করেন। তোপধ্বনির মাধ্যমে এলাকার জনগণকে কের-পূজা শুরুর সংকেত জানানো হয়। কের-পূজা শুরু হলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় কেউ আগুন জালাতে পারেন না। তাছাড়া এই সময়ে এলাকায় কারোর জন্ম বা মৃত্যু হলে কের পূজা ভঙ্গ হয়। কের-পূজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় জুমের চাল, কার্পাস, লালরং এর সুতো, রিয়া বা বস্ত্র, ২৮ টি ডিম ও ২৮ সাদা কাপড় আর বিভিন্ন ধরণের ফলফুল। রাজন্য আমল থেকে ত্রিপুরায় এই কের পূজা হয়ে আসছে। সুখসমৃদ্ধি কামনায় এবং জরাব্যধি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই কের পূজার আয়োজন। মঙ্গলবার আগরতলার রাজবাড়ীতে কের পূজা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় জানান রাজ্যের সুখ সমৃদ্ধি এবং ফসল যাতে ভালো হয় সে উদ্দেশ্যে মহারাজার আমল থেকে কের পূজা হয় হয়ে আসছে বলে জানান। কের কথার অর্থ সীমানা বা গণ্ডী। আগে এই কের আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ও পুরাতন আগরতলায় পুরাতন হাভেলীতে অনেকটা জায়গা জুরে হতো। এখন কালের বিবর্তনে কের পূজার গণ্ডী অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। পরম্পরাগত ভাবেই উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের এক কোণে এই পূজার আয়োজন করা হয়।

Exit mobile version