Site icon janatar kalam

পুলিশের জালে আটক লক্ষাধিক টাকার গাঁজা

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- “করোণা কারফিউ”তে ও থেমে নেই নেশা-কারবারীদের নেশার রমরমা বাণিজ্য প্রকৌশল । মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-র নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে ফের একবার বিরাট সাফল্য অর্জন করে তেলিয়ামুড়া থানার ট্রাফিক পুলিশ বাহিনী । ঘটনা আজ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৭ টা ৩০ মিনিট নাগাদ তেলিয়ামুড়ার থানাধীন হাওয়াইবাড়ির নাকা পয়েন্ট এলাকায় । বহিঃরাজ্যের একটি পণ্যবাহী ৬ চাকা গাড়িতে যার নম্বর WB 41 F 6167 নম্বরে তল্লাশি চালিয়ে সাত-সকালে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ তথা ৭৩৭ কেজি অবৈধ শুকনো ৫৩ টি গাঁজার প্যাকেট । যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানা যায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আজ সকাল বৃহস্পতিবারেও নিত্যদিনের মতোই তেলিয়ামুড়া থানার ট্রাফিক পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর বিজয় দাসের নেতৃত্বে হাওয়াইবাড়ির নাকা পয়েন্ট এলাকায় ভেহিকেল চেকিং করতে বসে তেলিয়ামুড়ার ট্রাফিক পুলিশ বাহিনী । আর ঠিক এমন সময়ই আগরতলা থেকে বহিঃরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একটি ৬ চাকার মালবাহী গাড়ি যার নম্বর WB 41 F 6167 জিরানীয়ার কলাবাগান থেকে রওনা হলে তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াইবাড়ির নাকা পয়েন্ট এলাকায় আসতেই তেলিয়ামুড়ার ট্রাফিক পুলিশ বাহিনী এই গাড়িটিকে সিগন্যাল দেয় থামানোর জন্য । পরবর্তীতে ওই গাড়িটিতে জোরকদমে তল্লাশি চালায় ট্রাফিক পুলিশ বাহিনী । তল্লাশি চলাকালে এই ৬ চাকা মালবাহী গাড়িটি থেকে উদ্ধার হয় ৫৩ প্যাকেট তথা ৭৩৭ কেজি শুকনো অবৈধ গাঁজার প্যাকেট । খবর যায় খোয়াই জেলার ট্রাফিক পুলিশের DSP বিক্রমজীত শুক্ল দাস ও তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের কাছে । খবর পেয়ে তড়িঘরি করে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন খোয়াই জেলার ট্রাফিক পুলিশের DSP বিক্রমজীত শুক্ল দাস সহ তেলিয়ামুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । এইদিকে আবার যদিও উল্লেখ্য, পুলিশ বাহিনী সঙ্গে সঙ্গেই গাঁজা বুঝাই ওই গাড়িটির চালককে আটক করতে পারলেও সহ চালককে আটক করতে পারে নি পুলিশ । একসময় গাড়ির সহ-চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । এইদিকে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ গাড়ির চালক সীতারাম যাদবকে আটক করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে । জানা যায়, ওই চালকের বাড়ি বিহার রাজ্যে । এইদিকে পুলিশ সূত্রে জানা আবার জানা যায়, এই অবৈধ শুকনো গাঁজাগুলো জিরানীয়ার কলাবাগান থেকে গাড়িতে লোডিং করা হয় বহিঃরাজ্য বিহারে পাচারের জন্য । এখন প্রশ্ন হলো, যদি জিরানিয়া থেকেই এই অবৈধ গাঁজাগুলো গাড়িতে লোডিং হয়ে থাকে তাহলে জিরানীয়া থেকে এতগুলো থানা ও ফাঁড়ির নাকের ডগা দিয়ে জাতীয় সড়কে পুলিশের টহলদারি জারি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে গাড়িটি পেরিয়ে তেলিয়ামুড়ায় আসলো ??? তাহলে কী সরষ্যেতেই ভূত লুকিয়ে আছে ! তাহলে কী আগরতলার বেশ কিছু থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ বাবুদের সাথেই নেশা মাফিয়াদের এখনও গোপনে দফারফা চলছে ??? এই নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই তেলিয়ামুড়ার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলে এক বিরাট প্রশ্নের উঁকি দিতে শুরু করেছে ???
তবে এইদিকে আবার কিছুদিন পরপরই তেলিয়ামুড়ায় নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে তেলিয়ামুড়ার পুলিশের বিরাট সাফল্যে গোটা তেলিয়ামুড়া শহরজুড়ে খুশির বাতাবরণ বিরাজ করছে !!

Exit mobile version