জনতার কলম ত্রিপুরা চড়িলাম প্রতিনিধিঃ- করোণায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনা চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত আরালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজিব কলোনি এলাকায়। মৃত যুবকের নাম মিটন দেব ৩৫ । পেশায় রাজমিস্ত্রি। অত্যন্ত গরীব পরিবার। জানা যায় গত পরশুদিন জ্বর উঠে মিটনের । সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে রেফার করা হয় হাপানিয়া তে। হাপানিয়া থেকে রেফার করা হয় জিবি হাসপাতাল। জিবিতে টেস্ট করানোর পর বলা হয় মিটন দেব করোণা পজিটিভ। শুধুমাত্র একটি স্যালাইন দিয়ে রেখে দেওয়া হয় রোগীকে মিটনকে এমনটাই অভিযোগ করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। কোন চিকিৎসা করা হয়নি। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেষ শনিবার ভোর চারটার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মিটন দেব। সকালবেলা খবর আসে বাড়িতে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরিবারের লোকজন। শুক্রবার রাত্রিবেলায় এলাকার আশা কর্মী মিটনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সবাইকে হোম আইসোলেশন এ থাকার নির্দেশ দিয়ে আসেন এবং একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। 21 তারিখ থেকে 27 তারিখ পর্যন্ত তাদেরকে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেন। মিঠুনের মা, স্ত্রী এবং দুই ছোট ছোট শিশুর চিৎকারে গোটা গ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। দুটি ছোট ছোট শিশু নয় বছরের প্রিয়ঙ্কা দেব এবং ছয় বছরের সায়ন দেব এখনো বুঝে উঠতে পারেননি পিতার কি হয়েছে। মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি মিঠুনের স্ত্রী এবং তার দুই সন্তান দের। তাদের চিৎকারে গোটা গ্রামের মানুষের চোখে জল। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বটতলা মহাশ্মশানে দাহ করবে বলে জানিয়েছে। গ্রামেও থাবা বসিয়েছে করোনা। গোটা গ্রাম আতঙ্কিত। চরিলাম গ্রামে দ্বিতীয় মৃত্যু এটি করুনার। করুনার দ্বিতীয় ঢেউ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। গ্রাম পাহাড় শহর-নগর ভয়ে কাঁপছে। এক ভয়াবহ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে চরিলাম গ্রামের পরিস্থিতি ও। সারাদেশ করুণা সংক্রমণ দিশেহারা। গ্রামের মানুষও এখন ভয়ে কাঁপছে। মিটনের মৃত্যুতে পরিবারটির উপর আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়েছে। করুণা এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে শেষবারের মতো মৃত ব্যক্তির মুখ টি পর্যন্ত দেখতে পারছেনা পরিবারের লোকজন। এমন পরিস্থিতি কখনো হবে ভাবতে পারেনি হয়তো মানবজাতি।