জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর মায়ের মৃত্যুর দিন মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে তিনি দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীরূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালের ২রা ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া জানা যায় রাজনীতিতে পদার্পণের পূর্বে রাজীব ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের এক পেশাদার বিমানচালক। মা দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, ১৯৮০ সালে কনিষ্ঠ ভ্রাতা সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাজীব রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। । ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হলে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ রাজীবকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। ওনার নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালে কংগ্রেস সংসদের ৫৪২টি আসনের ৪১১টিতে জয়লাভ করে। এই জয় ছিল ভারতীয় সংসদে কংগ্রেসের সর্বকালের রেকর্ড। রাজীব গান্ধী লাইসেন্স প্রথা, শুল্ক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অনুমতি প্রদানের নিয়মনীতি ঢেলে সাজান; টেলিযোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিসাধন প্রভৃতি নানা কাজ শুরু করেন। তাই আজও সন্মানের সহিত আধুনিক ভারতের রূপকার রাজীব গান্ধীকে দেশের মানুষ স্মরন করে। শুক্রবার সারা দেশের সাথে রাজ্যেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হল ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর 31 তম মৃত্যু দিবস, এদিন রাজধানীর প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয় এর সামনে রাজীব গান্ধীর প্রতিকৃতিতে ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে প্রয়াত ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। এভেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় বলেন পলাতক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী চিন্তাধারা ও আদর্শ নিয়ে চলা উচিত কেননা তিনি সমস্ত অংশের মানুষরা যেন সমান অধিকার পায় সেদিকে লক্ষ রেখে কাজ করছিলেন এবং তিনি ভারতবর্ষকে বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং আজ আমরা যারা গর্ব করছি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের মধ্যে অন্যতম ভারত বর্ষ সেটা ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অবদান বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।