জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যে বৈ পদ্ধতিতে সুগন্ধী চাল সহ আনারস, গোলমরিচ, আদা, হলুদ, কাঁচালঙ্কার চাষ হচ্ছে। জৈব চাষের আওতায় রয়েছে রাজ্যের ২০ হাজার হেক্টর জমি। রাজ্যের ১৯,৯০০ জন কৃষক জৈবচাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আজ উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ অধিকার কার্যালয় প্রাঙ্গণে ন্যারামেকের জৈবিক ফসল বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যান মন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ ন্যারামেকের এই আউটলেটে রাজ্যে জৈবচাষ পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল ও সামগ্রী পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত সামগ্রী সহ স্বসহায়ক দল ও স্ব-উদ্যোগীদের উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রীও এই আউটলেটে পাওয়া যাবে বলে কৃষিমন্ত্রী জানান। বর্তমানে রাজ্যে আগরতলা সুসংহত স্থলবন্দর, সদর মহকুমা শাসক কার্যালয় এবং সচিবালয়ে ন্যারামেকের এধরণের আউটলেট রয়েছে। সহসাই আগরতলা রেলস্টেশন, সাবরুম সুসংহত স্থলবন্দর ও শ্রীমন্তপুর সুসংহত স্থলবন্দরেও ন্যারামেকের আউটলেট খোলা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, উদ্যান পালন ও ভূমি সংক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া, ন্যারামেকের এমডি রাজীব অপেক প্রমুখ৷
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, আউটলেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন সামগ্রী ন্যারামেক অনুমোদিত একটি ভ্রাম্যমান যানের মাধ্যমে শহর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে বিক্রয় করা হবে৷ পতাকা নেড়ে এই ভ্রাম্যমান যানেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে রাজ্য থেকে ৩২ মেট্রিকটন প্রক্রিয়াজাত ভুট্টা মহারাষ্ট্রে পাঠানো হবে। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে আগামীকাল ১৬ মেট্রিকটন ভুট্টা পাঠানো হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জৈবচাষ এলাকার নিরিখে ভারতবর্ষ বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও স্পেনের পরেই ভারতবর্ষের স্থান। ২০২১ সালের এক সার্ভের অনুযায়ী দেশের ২৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে জৈবচাষ করা হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিম ১০০ শতাংশ অর্গানিক রাজা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। জৈবচাষে সহায়তার জন্য রাজ্যে আইকোয়া, শীল বায়োটেক এবং সিমন্ডে সার্ভিস প্রোভাইডাররা রয়েছেন। জৈবচাষ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২৬ মেট্রিকটন সুগন্ধী চাল, ৬২ মেট্রিকটন আঁদা, ১৪ মেট্রিকটন হলুদ, ১৪৯ মেট্রিকটন আনারস বাজারজাত করা হয়েছে। রাজ্যে ৫ হাজার ৮৬ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন আনারস বৈচাষ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী জানান, রাজ্যে উৎপাদিত ক্যুইন প্রজাতির আনারসের এখন জিআই ট্যাগ হচ্ছে। আগামীদিনে সুগন্ধী লেবু, কাঠাল ও সবরি কলার জিআই ট্যাগ পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে জৈব পদ্ধতিতে চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।