জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দক্ষিণ ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ের অন্যতম প্রধান উৎসব গণপতি বাপ্পা তথা গণেশ পুজো। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে এই পুজো। তবে গণেশ পূজো এখন আর শুধু মুম্বাইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গোটা দেশের সাথে কালক্রমে গনেশ পুজো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছোট্ট এই পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরাতেও। গত বেশ কয়েকবছর ধরেই রাজ্যের মাটিতে উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে গণেশ বন্দনা। আর তা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। রাজ্যের মানুষ নতুন নতুন উৎসব সংস্কৃতিতে নিজেদেরকে সামিল করছে। এর মধ্যে যেন অন্যতম হলো এই গণেশ পূজো। গণেশকে কেন্দ্র করে টানা তিন চার দিন চলে উৎসবের রেশ। দুর্গাপূজার আগে এই গণেশ চতুর্থী এখন রাজ্যে একটি অন্যতম বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। দিন দিন রাজ্যে বেড়েই চলেছে গণেশ পূজার সংখ্যা। আর তা থেকে মনে হচ্ছে সার্বজনীন দুর্গাপূজাকে পাল্লা দেবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গণেশ চতুর্থী। এবছর রাজধানী আগরতলা শহরেই অনেকটা বেড়েছে গণেশ পূজার সংখ্যা। শুধুমাত্র শহর নয়, অলিগলির বনেদি ক্লাবগুলিতেও আয়োজন করছে গনেশ পুজো। তিথি অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে গণেশের আরাধনা। তাই গণেশকে কেন্দ্র করে আয়োজিত পুজোর প্রস্তুতি চলছে এখন সর্বত্রই জোর কদমে। রাজধানীর জ্যাকসন গেইট এলাকায় এবছর প্রথমবারের মতো গণেশ পুজোর আয়োজন করে একদন্ত সামাজিক সংস্থা। আগামীকাল সন্ধ্যায় সেখানে আয়োজিত পুজো মন্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আগরতলা পৌরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, স্থানীয় কর্পোরেটর রত্না দত্ত সহ আরো বিশিষ্ট জনেরা। সাধারণের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে নয়, আয়োজক সংস্থার সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগেই প্রথমবারের মতো আয়োজন করে এই গণেশ পূজো। রবিবার পূজা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান উদ্যোক্তাদের পক্ষে তনুজ দাশগুপ্ত। তিনি আরো জানান, উৎসবের তিনদিনেই সেখানে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ প্রসাদ বিতরণ। এছাড়া উৎসব উপলক্ষে প্রায় এক হাজার গরীব দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বস্ত্র। তাই রাজ্যের সব অংশের মানুষকে পুজো প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে উৎসবের আমেজ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান উদ্যোক্তারা।