জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মাঝে একদিন বাদেই সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনায় মেতে উঠবে গোটা দেশ। দক্ষিণ ভারতের মুম্বাই ও তার আশপাশ অঞ্চলগুলিতে সবচেয়ে বড় উৎসব গণেশ চতুর্দশী। প্রতি বছর সেখানে মহা ধুমধামে পূজিত হয় সিদ্ধিদাতা গণেশ। কিন্তু এখন আর এই পূজা শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের সর্বত্রই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণেশ পূজা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম রাজ্য ত্রিপুরাতেও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই পূজা। তাই প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে রাজ্যে বাড়ছে গণেশ পূজার সংখ্যা। আর এই গণেশ পূজার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িত রয়েছে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বংশের মানুষ সামিল হচ্ছেন এই পুজায়। পরিস্থিতির কথা হোক, কিংবা মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই হোক না কেন, এবছর উৎসবের মরশুমে শহর জুড়ে সিদ্ধিদাতার পূজার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। শুধুমাত্র শহর কেন, নানা অলিগলিতে সব অংশের জনগণই এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সিদ্ধিদাতার আরাধনায়। গণেশ পূজায় এক কথায় যেন এখন নতুন ট্রেডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যে। বছর পাঁচেক আগেও শিল্প কারখানার চৌহদি ছেড়ে যে বিশ্বকর্মা পাড়ার বারোয়ারি দেবতা হয়ে উঠতে পারেননি, তাই একেবারে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে করে দেখালেন সিদ্ধিদাতা। নির্দিষ্ট কোন জনগোষ্ঠী নয় বরং এক লাফে সব অংশের জনগোষ্ঠীর কাছেই তিনি যেন হয়ে উঠলেন গণেশ বাবা। দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার হাত ধরে যেখানে বছরের পর বছর উৎসব মরশুমের সূচনা হতো বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যগুলির সেখানে সামনের সারিতে এসে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন গণেশজি। আর এই গণেশ বন্দনায় এখন মেতে ওঠার প্রতীক্ষায় যেন রয়েছেন রাজ্যবাসী। রাজধানী আগরতলা শহরে এবারও বৃহৎ পরিসরে গণেশ বন্দনার আয়োজন করে গণপতি সংস্থা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গনে এই সংস্থা আয়োজিত গনেশ পূজা শহরবাসীর মন ইতিমধ্যেই কেড়ে নেয়। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন শান্তি কালী আশ্রমের মহারাজ, জগন্নাথ জিউ মন্দিরের মহারাজ সহ আরো বিশিষ্ট জনেরা। শনিবার পূজা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন উৎসব আয়োজনকারী সংস্থার সভাপতি টিংকু ঘোষ।