Site icon janatar kalam

যুবসমাজকে খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে একাধিক নতুন মাঠ তৈরি ও আধুনিকীকরণের কাজ চলছে: ক্রীড়া মন্ত্রী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন অধিভুক্ত কৈলাসহর ক্রিকেট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আজ ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন লোধ, কোষাধ্যক্ষ বাসুদেব চক্রবর্তী, কৈলাসহর ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামল দাস, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় সহ একাধিক বিশিষ্টজন।

অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিংকু রায়। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তার বক্তব্যে মন্ত্রী রাজ্যে খেলাধুলার পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, “২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে নরসিংহগড়ে যে আন্তর্জাতিক মানের মাঠের কাজ শুরু হয় সেটা কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে যায়। … আবার কাজ শুরু হয়েছে এবং এখনো চলছে যার কাজ এই বছরের মধ্যেই শেষ হবে। আশাকরা যাচ্ছে এই কাজ শেষের পর এখানে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট যেমন আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, কৈলাসহরের বিদ্যানগরে ইতিমধ্যে একটি ক্রিকেট উপযোগী মাঠ তৈরি করা হয়েছে এবং রাজ্যব্যাপী যুবসমাজকে খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে একাধিক নতুন মাঠ তৈরি ও আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে খেলাধুলা নিয়ে রাজ্য সরকারের অঙ্গীকার আরও দৃঢ় হয়েছে বলে তিনি জানান।

নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বাড়াতে রাজ্য সরকারের “টেলেন্ট সার্চ” কর্মসূচির আওতায় প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি, গত দুই বছরে রাজ্যের ক্রীড়া দপ্তরে প্রায় ১০০ জন কোচ নিয়োগ করা হয়েছে এবং আরও ৩০০ জন পিআই নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, “এই চাকরি গুলো দিতে আমরা একটু সময় নিচ্ছি ঠিকই, আর এর কারণ আমরা চাই যারা প্রকৃতপক্ষে মাঠে থাকেন তারাই যেন এর সুযোগ পান।

ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন লোধ-এর ভূমিকারও প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, “উনার চাকুরি জীবনের অবসরের এত বছর পরও তিনি যেভাবে প্রতিদিন খেলার মান উন্নয়নের জন্য দৌড়চ্ছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

স্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও তরুণদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে এক বিশেষ আবহ সৃষ্টি করে।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পুরষ্কার বিতরণ করেন মন্ত্রী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এই ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের ক্রীড়াজগতকে আরও সুসংহত ও গতিশীল করবে বলেই মনে করছেন খেলোয়াড়, অভিভাবক ও ক্রীড়া সংগঠকরা।

Exit mobile version