জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-শিক্ষা মানুষকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোতে নিয়ে যায় এবং অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ ঘটায়। এই কথা উল্লেখ করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের ছেলেমেয়েদের গুণগত শিক্ষা প্রদানে বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। শিক্ষা পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে রাজ্যের শিক্ষার্থীরা এখন রাজ্যেই উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারছে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত ‘চিফ মিনিস্টার্স অ্যানুয়াল স্টেট অ্যাওয়ার্ড ফর একাডেমিক এক্সিলেন্স’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এই বছর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ের শীর্ষ স্থানাধিকারী ২২৮ জন ছাত্রছাত্রীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রতীকীভাবে ৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে ট্যাব এবং শংসাপত্র তুলে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “লক্ষ্যপূরণের জন্য স্বপ্ন দেখতে হয়। নিজের মধ্যেই রয়েছে স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি। ধৈর্য, একাগ্রতা, কঠোর পরিশ্রম এবং প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমেই সাফল্য অর্জন সম্ভব।” তিনি আরও জানান, এই পুরস্কারের মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা এবং তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, “শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাবই প্রকৃত শিক্ষার সার্থকতা এনে দেয়।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন, যুব শক্তিই দেশের অন্যতম সম্পদ। ত্রিপুরার শিক্ষার্থীদের মেধার কোনও অভাব নেই, তবে তাদের প্রকৃত শিক্ষা প্রদানের জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন.সি. শর্মা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার এবং এস.সিই, আর.টি.-র অধিকর্তা এল. ডার্লং। এই অনুষ্ঠান রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎকর্ষতা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিভাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।