জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সমাজদ্রোহীদের আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিতি নিয়েছে ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র। তাই আতঙ্কগ্রস্ত এলাকাবাসী মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমাজদ্রোহীদের কাছ থেকে রেহাই পেতে চাইছে। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা ঘটনার বিস্তারিত জানান ৮ নং টাউন বড়দোয়ালির মন্ডল সম্পাদক অভিজিৎ দাস। এদিন তিনি জানান, নেশা ব্যবসায়ী, নিগো বাণিজ্যের সাথে জড়িত এলাকার রাজেশ দে ওরফে, কানাই দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ২০১৮ -র পর থেকে আগরতলা পুর নিগম এবং এম আই এফ সি – দুটি ক্ষেত্রেই সে নিগো সম্রাট। ধীরে ধীরে পেশী শক্তি কাজে লাগিয়ে এলাকার ক্লাব কমিটির সম্পাদক হয়ে যান অভিযুক্ত রাজেশ। সে মারমুখী হয়ে এলাকায় কায়েম করতে চায় গুন্ডারাজ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহুবার তাকে বাধা দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট তাকে বাধা দিতে গেলে ৩৫ নং বুথ সভাপতি দীপঙ্কর দে এবং রাজীব দাসের উপর আক্রমণ সংঘটিত করে। জানা যায় মন্ডল সম্পাদকের কাছে খবর ছিল সে তার বাড়ির কাছে নেশা কারবারিদের সাথে আনাগোনা করছে। তখন দীপঙ্কর এবং সুমন বাধা দিতে গেলে রাজেশের ভাই রাজু ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ সংঘটিত করে দীপঙ্করের মাথায়। পরবর্তী সময় রক্তাক্ত অবস্থায় দীপংকরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্ত রাজেশ তার সিসিটিভি -র ফুটেজ থেকে বুথ সভাপতি উপর আক্রমণের ছবি গায়েব করে নেয় এবং বুথ সভাপতি দীপঙ্কর ও রাজীবকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় বলে অভিযোগ। তাছাড়া আগামী দিন যদি আহত দীপঙ্কর এবং সুমনের কোন ধরনের অঘটন হয় তার জন্য দায়ী থাকবে সমাজদ্রোহী রাজেশ এবং তার ভাই রাজু। এমনটাই দাবি করেছেন মন্ডল সম্পাদক। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।