জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- নারী শক্তিকে স্বশক্তি করনের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার প্রজ্ঞা ভবনে অনুষ্ঠিত হলো মহিলা কল্যাণ ও স্বশক্তি করণ কনক্লেভ। এই কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় ,ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন ঝর্না দেববর্মা, সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায় সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলা পরিচালিত এনজিও এবং সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এনজিও এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং নারীদের সুরক্ষার জন্য কার্যকর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করার লক্ষ্যে রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে ‘মহিলা কল্যাণ ও সশক্তিকরণ কনক্লেভের আয়োজন করা হয়।
শনিবার রাজধানীর প্রজ্ঞাভবনে অনুষ্ঠিত হয় এই কনক্লেভটি। এদিনের এই কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী টিংকু রায়, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের জয়ন্তী দেববর্মা, সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায় এবং এ.আই.জি ক্রাইম শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
এদিনের এই কনক্লেভে রাজ্যের বিভিন্ন NGO’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। নারী সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং উপলব্ধ আইনি ব্যবস্থার সঠিক ও কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যে কত দ্রুত পৌঁছানো যায় সেটার দিশা ঠিক করা ও কিভাবে “ত্রিপুরা স্টেট পলিসি ফর এমপাওয়ারমেন্ট অফ ওমেন-২০২২-কে আরো প্রভাবশালী রূপে কার্যকর করা যেতে পারে এবং সমাজে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করা যেতে পারে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, মহিলাদের সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে এনজিওগুলোর একটা বিশেষ অবদান রয়েছে। কেননা এমন বহু কাজ আছে, যা সরকার সরাসরি করতে পারেনা। এই ক্ষেত্রে এনজিওগুলো এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এদিন মহিলা কল্যাণ ও সশক্তিকরণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়।