Site icon janatar kalam

মণিপুরে হিংসা মামলা নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মণিপুরে হিংসা মামলা নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় এদিন। সেখানে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজের তদারকিতে প্রাক্তন বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও সিবিআই তদন্তের তদারকিকে প্রাক্তন এক আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্তের তত্ত্বাবধান করবেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার দত্তাত্রেয় পাটসালগিকার।এছাড়াও ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে পরামর্শ দিতে হাইকোর্টের তিন প্রাক্তন বিচারপতির একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বে গঠিত সেই কমিটিতে বাকি সদস্য হলেন শালিনী যোশী ও আশা মেনন।এর আগে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল ভেঙ্কটরামানি বলেছিলেন যে ৬৫০০ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তা আদালতের সামনে রাখা হয়েছে। বিষয়টিতে খুব ভালভাবে দেখতে হবে। সরকারের তরফে বিভিন্ন ধরনের সিট গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন হত্যা মামলায় সিটের নেতৃত্বে থাকবেন একজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। মহিলাদের সঙ্গে দুর্বব্যবহারের ঘটনার তদন্তে থাকবেন এক সিনিয়র মহিলা অফিসার। এইভাবে অন্য সিটগুলিও গঠন করা হয়েছে। সিটগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট নেবেন ডিআইজি। ডিজিপি প্রতি ১৫ দিনে সেই সব রিপোর্টের পর্যালোচনা করবেন।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন মণিপুরের জনগণের আস্থা বাড়ানোর জন্যই তাদের চেষ্টা। তিনি বলেছেন, ১১ টি এফআইআর সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করবে না।তবে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেবে যাতে তদন্তকারী দলে ৫ জন আধিকারিককে ডিএসপি বা এসপি পদমর্যাদার হতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, এই অফিসারদের অন্য রাজ্যের হতে হবে, তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলবেন।প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন রাজ্য সরকার ৪২ টি সিট তৈরির কথা বলেছে। সুপ্রিম কোর্ট চায় প্রতিটি সিটের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে একজন পরিদর্শক থাকা উচিত, যিনি অন্য রাজ্যের আধিকারিক হবেন। এছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে ডিএজি পদমর্যাদার ৬ জন আধিকারিক থাকা উচিত, যাঁরা ওই ৪২ টি সিটের কাজের তত্ত্বাবধান করবেন।

Exit mobile version