Site icon janatar kalam

ভিকি হত্যাকাণ্ডে পুলিশের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা বাবুল দত্তের

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- শেষ রক্ষা হল না অবশেষে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়লেন বাবুল দত্ত। এই ব্যক্তির মৃত্যুর পর ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক খুন কাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি পুলিশ ভিকি খুন কাণ্ডে কোন যোগসূত্র খোঁজে পেয়েছে এই পরিবারের সঙ্গে? নাকি অন্য কিছু রয়েছে? ৭ মে শহরতলী পশ্চিম নোয়াবাদী আমতলী এলাকার বাসিন্দা বাবুল দত্ত বিষ পান করেন।

সঙ্গে সঙ্গে উনাকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। এদিনই ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। মৃত বাবুল দত্তের পরিবারের অভিযোগ পুলিশি চাপ ও ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন নিরীহ বাবুল দত্ত।

জানা গেছে সম্প্রতি ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি খুনের ঘটনার পরে পুলিশ বাবুল দত্তের বাড়িতে গিয়ে উনার মোবাইল এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে আসেন এবং উনাকে বাড়ি ছেড়ে কোথাও না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।অভিযোগ এর পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। জানা গেছে বাবুল দত্তের ছেলের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে ভিকি খুনে ধৃত সুস্মিতা সরকারের।

অভিযোগ ৬ মে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুইজন মহিলা- পুরুষ ধৃত সুস্মিতার মা ও বোনকে বাবুল দত্তের বাড়িতে নিয়ে যায়। দুইজনকে বাবুল দত্তের বাড়িতে রাখার জন্য চাপ দেয়। এতে বাবুল দত্ত রাজি হয়নি এসব নিয়ে আতঙ্কিত ও ভয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন বাবুল দত্ত বলে জানান মৃতের মেয়ে।

Exit mobile version