জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- পাঁচ বছরে প্রথমবার চিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মঙ্গলবার তিনি বৈঠকে বসলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন জয়শংকর। উল্লেখ্য, সোমবার বেজিং পৌঁছেও ভারত-চিন সহযোগিতার কথা শোনা গিয়েছিল জয়শংকরের কণ্ঠে।
এসসিও দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছেন জয়শংকর। সম্মেলনের মাঝেই বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জিনপিং। সেই সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে জয়শংকর লেখেন, “এসসিও বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে মিলে আজ সকালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। সম্প্রতি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে যে উন্নতি হয়েছে সেই নিয়েও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দুই দেশের নেতারাও এই নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন।”
২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘাতের পর প্রথম চিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তবে গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল পর্যায়ে হলেও দুই দেশের কূটনৈতিক সংঘাত এখনও জারি। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল চিন। শুধু তাই নয়, দলাই লামা ইস্যুতেও টানাপোড়েন চলছে দুই দেশের। এই উত্তপ্ত সময়েই জয়শংকরের চিন সফর কূটনৈতিক আতশকাচের নিচে। বেজিংয়ে গিয়ে ভারত-চিন সহযোগিতার বার্তা শোনা গিয়েছে জয়শংকরের কণ্ঠে। সোমবার বেজিংয়ে পা রেখে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল অবস্থায় রয়েছে।
এই কঠিন সময়ে ভারত ও চিনের মধ্যে আলোচনা ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্মুক্ত বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরের সময় এই ধরনের আলোচনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ উল্লেখ্য, পাকিস্তান-বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে জোটের পথে হাঁটছে চিন। এহেন পরিস্থিতিতে কি বেজিং সফরে গিয়ে জিনপিংয়ের পরিকল্পনা বদলাতে পারবেন জয়শংকর, প্রশ্ন সেটাই।