Site icon janatar kalam

ভবিষ্যতে ভারত নিজেদের মহাকাশ স্টেশনও গড়ে তুলবে: প্রধানমন্ত্রী

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- জাতীয় মহাকাশ দিবসের দ্বিতীয় বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মহাকাশ অভিযাত্রী শুভাংশু শুক্লা এবং গগনযান মিশনে অংশ নিতে চলা অন্যান্য মহাকাশচারীরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং এবং ইসরোর চেয়ারম্যান ভি. নারায়ণন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং দেশবাসীকে দ্বিতীয় জাতীয় মহাকাশ দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

আর্যভট্ট থেকে গগনযান: থিমে ঐতিহ্য ও ভবিষ্যতের অঙ্গীকার!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবারের মহাকাশ দিবসের মূল ভাবনা হলো — আর্যভট্ট থেকে গগনযান পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের অতীতের আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় সংকল্প। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই জাতীয় মহাকাশ দিবস তরুণ সমাজের মধ্যে বিরাট উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এটি নিঃসন্দেহে দেশের জন্য গর্বের বিষয়।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনোর ইতিহাস গড়ে তুলেছে এবং একইসঙ্গে স্পেসে ডকিং ও আনডকিং প্রযুক্তি অর্জনকারী সীমিত দেশগুলির মধ্যে ভারতও অন্যতম।

 

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতের পতাকা!

মোদী বলেন, “শুভাংশু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তিরঙ্গা উত্তোলন করে প্রতিটি ভারতীয়ের বুকে গর্বের সঞ্চার করেছেন। সেই মুহূর্ত ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।”

তিনি জানান, ভারত ইতিমধ্যেই সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এবং ইলেকট্রিক প্রপালশন প্রযুক্তির উন্নয়নে দ্রুত এগোচ্ছে। আগামী দিনে গগনযান মিশন সফলভাবে আকাশে উড়বে এবং ভবিষ্যতে ভারত নিজেদের মহাকাশ স্টেশনও গড়ে তুলবে।

 

সংস্কার, কর্মদক্ষতা ও রূপান্তরের পথে ভারত!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম— আমাদের পথ হলো সংস্কার, কর্মদক্ষতা এবং রূপান্তরের পথ। গত ১১ বছরে দেশ মহাকাশ ক্ষেত্রে একের পর এক বড়সড় সংস্কার করেছে। আজ মহাকাশ প্রযুক্তি শুধু গবেষণায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রশাসনের অংশ হয়ে উঠেছে।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন,

ফসল বিমা যোজনায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে।

মৎস্যজীবীরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমুদ্রের তথ্য ও নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পিএম গতি শক্তি প্রকল্পেও মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে।

 

জনগণের জীবনে সহজতা আনছে মহাকাশ প্রযুক্তি!

মোদীর কথায়, “আজ ভারতের মহাকাশ অভিযাত্রা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করে তুলছে। প্রতিটি নতুন সাফল্য আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে এবং আগামী দিনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।”

 

📌 সংক্ষেপে:

জাতীয় মহাকাশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল ভাষণ।

থিম: “আর্যভট্ট থেকে গগনযান”।

শুভাংশু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তিরঙ্গা উত্তোলন করে দেশকে গর্বিত করেছেন।

ভারত দ্রুত এগোচ্ছে গগনযান, মহাকাশ স্টেশন ও নতুন প্রপালশন প্রযুক্তির দিকে।

কৃষি, মৎস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে প্রশাসনিক কাজে মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।

Exit mobile version