janatar kalam

বুল ড্রজার, ক্রেন দিয়ে দ্বিতল ভারত রত্ন সংঘের অফিস বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হলো

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সরকারি নির্দেশের সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই ময়দানে নামে জেলা প্রশাসন। বুধবার ভোরে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে শহরতলীর ঊষাবাজারের বনেদি ক্লাব ভারত রত্ন সংঘের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঊষাবাজারের বহু পুরনো ভারত রত্ন সংঘ। বেশ কয়েক বছর ধরে বিগ বাজেটের পূজা করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে রাজ্যে। সম্প্রতি ভারত রত্ন সংঘের অফিস বাড়িটি খাস জায়গা রয়েছে বলে প্রশাসনের তদন্তে বেরিয়ে আসে।

এর পরেই সদর মহকুমা প্রশাসন থেকে সংঘের সভাপতি ও সম্পাদককে ৭ দিনের সময় চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে জবাব না পেলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বুধবার ভোরে সংঘের অফিস বাড়ি ভাঙ্গতে ময়দানে নামে প্রশাসন। পুরো প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসন যায়। বুল ড্রজার, ক্রেন দিয়ে দ্বিতল ভারত রত্ন সংঘের অফিস বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে, সদর মহকুমা শাসক সহ অন্যরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম জেলা জেলাশাসক ড: বিশাল কুমার জানান ভারতরত্ন সংঘের সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন দেব হত্যাকাণ্ড তদন্তে বিভিন্ন দিকগুলি উঠে আসে এর মধ্যে অন্যতম ছিল এই ক্লাবের জমির বিষয়টিও তদন্তে উঠে আসে এই ক্লাব গৃহে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চলতো একে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হত গোটা ক্লাব এলাকাটি সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠেছিল সরকারি জমির দখল করা সম্পূর্ণ বেআইনি তাই ক্লাব ঘর ভেঙ্গে খেলার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ৭ দিনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করায় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তাছাড়া এদিন তিনি আরও বলেন যে “সিএম এবং ত্রিপুরা সরকারের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে৷ কোনও সংস্থা নেই, এমন কোনও ব্যক্তি নেই যে চোরাচালান, মাদক ব্যবসায় জড়িত বা ভূমি মাফিয়া বা হস্তক্ষেপ করে ৷ সরকারের টেন্ডার দর কষাকষি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এবং এই ক্লাবের কিছু নতুন ও কিছু পুরাতন সদস্য যারা ইতিমধ্যেই জেলে আছে তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে নিয়মানুযায়ী এই জমিতে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে, শাস্তির পাশাপাশি এই ধ্বংস অভিযানে সরকারের উন্নয়নের স্বপ্ন রয়েছে।” আরো উল্লেখ্য বিষয় হল রাজধানীর এমন একাধিক ক্লাব রয়েছে যেগুলি সরকারি জমি উপর নির্মাণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেও প্রশাসন কি ভূমিকা গ্রহণ করে সেটাও এখন দেখার বিষয়।

Exit mobile version