জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মণিপুরে জাতিদাঙ্গা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার। অশান্ত মণিপুরে পরস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।মণিপুরের মানুষ কেমন আছে? তা জানতে সেই রাজ্যে গেছে সিপিআইএম-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। মণিপুরের পরস্থিতি দেখে সীতারাম ইয়েচুরি সংবাদমাধ্যমদের সামনে বলেন, “বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার জাতিদাঙ্গা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সদিচ্ছাই নেই। তিন মাসের বেশী সময় ধরে দাঙ্গা চলছে। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে ঘরছাড়া। আবার অনেকে বিভিন্ন এনজিও-র আশ্রয়ে রয়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।”তিনি আরও বলেন, “মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাথে আমরা কথা বলি। তাঁদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই। এই দুঃখের দিনে গোটা দেশ তাঁদের পাশে আছে। অনেক এনজিওকে রয়েছে যারা তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে। তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”উল্লেখ্য, মণিপুর গিয়ে বিভিন্ন আশ্রয় শিবির ঘুরে দেখেন সিপিআইএম-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে তাঁরা গেছেন। বাকি তিন জন হলেন, দেবলীনা হেমব্রম, জীতেন চৌধুরী এবং সুপ্রকাশ তালুকদার। মূলত বিষ্ণুপুর জেলা ও চুরাচাঁদপুর জেলার আশ্রয় শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা। সেই সব আশ্রয় শিবিরের অবস্থাও নাকি ভালো নয়। জল জমে রয়েছে চারিদিকে। থাকার উপযুক্ত পরিবেশ সেখানে নেই।গত মে মাস থেকে চলা মণিপুরের জাতিগত হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে নাগা অধ্যুষিত উখরুল জেলায় নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। ৩ কুকি গ্রামীণ স্বেচ্ছাসেবক নিহত হন তাতে। নিহতরা হলেন সন বাইতে (২৪), থাংখোকাই হাওকিপ (৩৫) এবং জামখোগিন হাওকিপ (২৪)। গত এক সপ্তাহে মণিপুরে হিংসার ঘটনা না ঘটলেও এদিনের ঘটনায় উত্তেজনা আবার বাড়বে মনে করা হচ্ছে। মোট ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এখনও পর্যন্ত।