জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বাঙালিরা বরাবরই খাদ্য রসিক। আর এই খাদ্য রসিক বাঙ্গালীদের খাদ্যের তালিকায় অন্যতম সামগ্রী হল মাছ। রাজের সিংহভাগ মানুষ মৎস্য প্রেমি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বাজার গুলিতে মাছের চাহিদা রয়েছে বেশ তুঙ্গে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় রাজ্যের যোগান অনেকটাই কম। বহির রাজ্যে আমদানিকৃত মাছের উপরেই মূলত নির্ভরশীল রাজ্যবাসী। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই মাছের দাম বাজারে অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় মৎস্য উৎপাদনেও রাজ্যকে স্বয়ংভর করে তুলতে কাজ করে চলেছে রাজ্যে মৎস্য দপ্তর। 
এই দপ্তর দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য উৎপাদনে বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে চললেও এখনো পর্যন্ত প্রত্যাশিত সাফল্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন তৃতীয় জোট সরকার রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হবার পর মৎস্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন সুধাংশু দাস। মৎস্য দপ্তরের দায়িত্ব হাতে পেয়েই তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন মৎস্য উৎপাদনে। মাছের উৎপাদন বাড়াতে মৎস্য চাষীদের উৎসাহিত করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে চলেছে এখন এই দপ্তর। বৃহস্পতিবার আগরতলা গোর্খাবস্তি স্থিত মৎস্য দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে সেই লক্ষ্যমাত্রা কে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা সভা। দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় রাজ্যস্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলা ও মহকুমা স্তরের আধিকারিকরা অংশ নেয়। বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠন হবার পর মৎস্য দপ্তরের প্রথম পর্যালোচনা সভায় তিন মাসের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা কতটুকু সাফল্য পেল তা নিয়ে এদিনের এই বৈঠকে আলোচনা হয়। একই সাথে বৈঠকে আগামী তিন মাসের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। লক্ষ্য একটাই উৎপাদন বৃদ্ধি করে মাছের যে ঘাটতি তা পূরণ করা। এদিনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান রাজ্যে চাহিদার তুলনায় মাছের উৎপাদন অনেকটাই কম। তাই সামঞ্জস্য কমানোর জন্য উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দিয়েছে দপ্তর। রাজ্যের মানুষের মাছের চাহিদা পূরণে মৎস্য দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে কাজ করছে। এদিন তিনি আরো জানান পহেলা বৈশাখ, জামাইষষ্ঠীর মতো আসন্ন বিজয়া দশমীতে ও নায্য মূল্যে কম দামে রাজ্যবাসীর কাছে স্থানীয় মাছ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে দপ্তর। পাশাপাশি তিনি এও জানান, বাজারে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং ফরমাল যুক্ত মাছ বিক্রি বন্ধ করতে দপ্তরের নজরদারি আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।