Site icon janatar kalam

বাম আমলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জায়গা অধিগ্রহণ করে দেওয়া হলোনা চাকুরি আজও বঞ্চিত সুপ্রিয়া

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ২০১০ সালে পশ্চিম মাছলি মারাক পাড়া এলাকার যোগেন্দ্র চাকমার পরিবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জায়গা নিয়েছিল আইসিডিএস কতৃপক্ষ । জায়গা নেওয়ার শর্ত ছিল যোগেন্দ্র চাকমার পরিবারে যেকোনো একজনকে চাকরি দেওয়া হবে এই কেন্দ্রে। এই শর্তে যোগেন্দ্র চাকমার একেবারেই বাড়ির উঠানে গড়ে উঠেছিল একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। কিন্তু এই অঙ্গনারী কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর সেখানে তার পরিবারের কাউকে চাকরি না দিয়ে জনৈক চিনু রানী দাস নামে এক মহিলাকে চাকরি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রয়াত হন জায়গার মালিক যোগেন্দ্র চাকমা। এই অবস্থায় চারটি মেয়েকে নিয়ে সংসার প্রতিপালন অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছিল প্রয়াতের চাকমার স্ত্রী সুপ্রিয়া মারকের। এরই মধ্যে ২০২০ সালে প্রয়াত হন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের হেলপার চীনু রানী দাস। এই অবস্থায় সেই পূরোনো দাবি নিয়ে সিডিপিও থেকে শুরু করে তৎকালীন বিধায়ক দিবা চন্দ্র রাংখলের পরামর্শে সুপ্রিয়া মারাককে তিন মাসের জন্য হেল্পার পদে নিয়োগ করা হয়। ২২০০ টাকা বেতনের কাজ শুরু করেন তিনি। তিন বছর ৮ মাস কাজ করার পর সম্প্রতি তার জায়গায় অন্য আরেকজনের নিয়োগ করে আইসিডিএস। এই অবস্থায় বেকে বসেন সুপ্রীয়া মারাক। তিনি বলেন যেহেতু তার জায়গাটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে নেয়া হয়েছিল সেহেতু চাকুরী প্রদান করা না হলে তিনি তার জায়গা দেবেন না। কারণ তার চারটি মেয়ে রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই পড়াশোনা করছে। পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার আইনত তাদের উপরেই বর্তায়। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে নিজের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে এই দাবি তুলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জায়গার মালিক সুপ্রিয়া মারাক। উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে এমন বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল যেখানে শর্ত ছিল জায়গার মালিকের পরিবারের একজনকে এই কেন্দ্রগুলিতে চাকরি প্রদান করা হবে। কিন্তু এমন অনেক পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়,, যারা জায়গা দান করার পরেও চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বহু জায়গায় এই কারণেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়েছেন জায়গার মালিকেরা। এখন দেখার বিষয় পশ্চিম মাছলির মারাক পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি রক্ষা করতে আইসিডিএস কতৃপক্খ কি ভূমিকা গ্রহণ করে।

Exit mobile version