জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:-বিয়ের নিমন্ত্রণ সেরে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন অঙ্কিত দাস (বয়স আনুমানিক ২৫)। জিরানিয়া বাজারের একেবারে কাছাকাছি নিজেদের বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছতেই অতর্কিত হামলা। একদল যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে লাঠি, রড আর লাথি-ঘুষিতে এলোপাথাড়ি মার মারতে থাকে। মিনিট দশেকের ঝটিকা আক্রমণে ভেঙে গেল দুই হাত ও বাঁ পা, মাথা ফেটে রক্তে ভেসে গেল মুখ। হামলাকারীরা গলার চেইন, হাতের বালা আর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় অঙ্কিতকে প্রথমে জিরানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই স্থানান্তর করা হয় আগরতলার জিবি পন্ত হাসপাতালে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তিনি আইসিইউ-র পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
আহত অঙ্কিতের মা অপর্ণা রায় জানিয়েছেন, “আমার স্বামী দীর্ঘদিনের বামপন্থী সমর্থক। এই কারণেই গত কয়েক বছরে আমার ছেলের ওপর এ নিয়ে চতুর্থবার হামলা হল। প্রতিবারই একই দলের লোকজন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা স্থানীয় বিজেপি-সমর্থিত বলে পরিচিত।
হাসপাতালের বিছানা থেকে কাতর গলায় অঙ্কিত জানিয়েছেন, চারজন হামলাকারীকে তিনি স্পষ্ট চিনতে পেরেছেন। তাদের নাম বিজয় সাহা, বিশু, রোহিত ও শিবশঙ্কর — সবাই জিরানিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার পরপরই জিরানিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে পরিবারের দাবি। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বাজারের দোকানপাট খোলা থাকলেও মানুষজন ফিসফিস করে শুধু এই হামলার কথাই বলছেন।
রাজনৈতিক হিংস্রতার এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক সহনশীলতা নিয়ে। পরিবারের আশঙ্কা, আগের তিনবারের মতোই এবারও হয়তো দোষীরা পার পেয়ে যাবে।

