জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার তার সাধারণ বাজেট পেশ করেছে, অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সংসদের বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন। প্রতিবাদ তখনই গতি পায় যখন সমগ্র ভারত জোট একত্রিত হয়।
বাজেট আসার পর থেকে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস এবং ভারতীয় জোটের অন্যান্য দলগুলির থেকে ক্রমাগত প্রচণ্ড আক্রমণ চলছে। সংসদের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক বিবৃতি দেওয়া হলেও অপেক্ষা ছিল আজ সকাল পর্যন্ত।
সমগ্র ভারত জোট একত্রে হাউসের বাইরে পৌঁছে গেল এবং সমস্ত নেতা ও মন্ত্রীরা বাজেট নিয়ে কটূক্তি শুরু করলেন। হাউসের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, অখিলেশ যাদব সহ সমস্ত বিরোধী নেতারা তাদের হাতে ব্যানার নিয়ে তাদের রাজ্যের জন্য বাজেটে অংশের দাবি করতে শুরু করেন।
ইউপি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের লোকেরা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের গুরুতর অভিযোগ করতে শুরু করে। অখিলেশ যাদব বাজেটের সময় উত্তরপ্রদেশে বন্যার উল্লেখ না করার লক্ষ্য নিয়েছিলেন, তিনি বিহারের প্রাপ্ত বাজেট নিয়েও কঠোর মন্তব্য করেছিলেন।
অখিলেশ যাদব বলেছিলেন যে আমরা কৃষক এবং দরিদ্রদের জন্য একটি প্যাকেজ দাবি করছি, কিন্তু এই সরকার সরকার চালাচ্ছেন তাদের একটি প্যাকেজ দিয়েছে, তাও সরকার চালানোর জন্য। তিনি বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহার প্যাকেজ পেয়েছে। আমরা বলি না যে প্যাকেজ গ্রহণ করা উচিত নয়। উন্নয়ন এবং পরিকাঠামোর জন্য অর্থ দেওয়া উচিত, তবে অন্যান্য রাজ্যের সাথে বৈষম্য করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ কেন প্যাকেজ পেল না? অখিলেশ যাদব বলেন, বিহারে বন্যা বন্ধ করতে হলে নেপালের সঙ্গে কথা বলতে হবে। উত্তরপ্রদেশের বন্যা থেমে গেলে বিহারের বন্যাও আপনাআপনি থেমে যাবে। বিহারকে দেওয়া হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ে। এটি ইউপির সাথে যুক্ত হলে দেশের উন্নতি হবে।
সংসদের বাইরে শুধু হৈচৈ পড়ে যায় নি। সংসদের ভেতরেও বিরোধীরা ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিরোধীরা বলেছেন, সরকার দুই রাজ্য ছাড়া কাউকে কিছুই দেয়নি। এই বাজেট শুধু চেয়ার বাঁচানোর বাজেট। লোকসভা থেকে রাজ্যসভা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে বিরোধীরা।