Site icon janatar kalam

বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ, কাটমানি,অনুপ্রবেশ,বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ করতে পারবেন না মমতাদিদি : অমিত 

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- জানুয়ারি মাসে জাঁকজমক করে উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শামিল হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাহুল গান্ধীর মতো বিরোধী নেতারা। এবার লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে সেই ইস্যুতেই তাঁদের নিশানা করলেন অমিত শাহ। একযোগে বিঁধলেন রাহুল-মমতাকে। ভোটব্যাঙ্কের ভয়েই তাঁরা রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বলে অভিযোগ করলেন তিনি।

এদিন মতুয়া-অধ্যুষিত বনগাঁর সভা থেকে অমিত শাহ বলেন, “৭০ বছর ধরে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট, তৃণমূল কংগ্রেসরা রামমন্দিরকে আটকে রেখেছিল। আপনারা মোদিকে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী করেছেন। ৫ বছরেই উনি মামলা জেতেন, ভূমিপুজো করেছেন আর ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে জয় শ্রী রাম করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, কেউ রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় যাননি। কেন যাননি ? কারণ, ওঁরা ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে ভয় পান ।” তাঁর সংযোজন, “ওদের ভোট ব্যাঙ্ক অনুপ্রবেশকারীরা। আমাদের ভোট ব্যাঙ্ক মতুয়ারা। মোদিজি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করেছেন। বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ, কাটমানি , অনুপ্রবেশ, বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ করতে পারবেন না মমতাদিদি। শুধু মোদিজির নেতৃত্বে এই সব বন্ধ হওয়া সম্ভব।

এদিন শাহের বক্তব্যে আরও একবার উঠে আসে এরাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “এদের মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি উদ্ধার হয়েছে। আপনাদের টাকা লুঠ করে মন্ত্রীদের দিয়েছেন মমতাদিদি। শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ, রেশন দুর্নীতি, গরুপাচারকারী, অর্থের বদলে প্রশ্ন করেছে যারা সকলকে জেলে যেতে হবে। বিনামূল্যে রেশন দেন মোদিজি, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন মোদিজি। ৭ কোটি গরিবকে এই সব সুবিধা দেন মোদিজি। বাংলায় শুধু কাটমানি, অনুপ্রবেশ, সিন্ডেকেটকে উৎসাহ দিয়েছেন মমতাদিদি।

ইভিএম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কার প্রশ্নে পাল্টা জবাবও দিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, “মমতাদিদি ইভিএমে গন্ডগোলের কথা বলছেন, এই ইভিএমেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন উনি। এখন মানুষ ওনার বিপক্ষে তাই উনি ইভিএমে গন্ডগোল দেখছেন।” EVM নিয়ে আশঙ্কার কথা বলতে গিয়ে এদিন কল্যাণীর সভা থেকে মমতা বলেন, “এরা যে কী করতে পারে কল্পনাও করতে পারবেন না। এরা জানে হারছে , তাই শেষ মুহূর্তে শেষ কামড় দেওয়ার জন্য… ইভিএম যেখানে থাকবে যাতে কোনও রকম আলো বন্ধ করতে না পারে, কোনও রকম মেশিন বদলাতে না পারে, যাঁরা অর্গানাইজার আছেন তাঁদেরও দায়িত্ব, পুলিশেরও দায়িত্ব। মানুষ ভোট দেবেন। তাঁর ভোটটা যেন সযত্নে রক্ষা হয়।

Exit mobile version