Site icon janatar kalam

বর্তমান সময়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর যুগে শিশু-তরুণ-যুবাদের পরিবেশবান্ধব করার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে: পর্যটন মন্ত্রী 

জনতার কলম ত্রিপুর আগরতলা প্রতিনিধি :- “পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ান” এই উদ্দেশ্য ও প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ কসবেশ্বরী মায়ের মন্দির পরিসরের পূণ্যভূমিতে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ও জলশক্তি মন্ত্রক/ইন্ডিয়া ট্যুরিজম গুয়াহাটি/যুব ট্যুরিজম ক্লাব এবং ট্র্যাভেল ট্রেড স্টেকহোল্ডর ও ত্রিপুরা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের সম্মিলিত উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে এবং একটি চারাগাছ রোপণ করে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের লালন-পালনের সময় প্রত্যেকেই তাদের নানা বিষয় শিক্ষা দিয়ে থাকি, যেমন সকলকে সম্মান করা, ভালোভাবে পড়াশোনা করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কী কোনও পদক্ষেপ আমরা অভিভাবকরা নিয়ে থাকি? বর্তমান সময়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর যুগে শিশু-তরুণ-যুবাদের পরিবেশবান্ধব করার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে এটি তাদের জীবনযাপন প্রণালীর অংশ হয়ে উঠতে পারে। অনেক অভিভাবকই নিজের সন্তানকে এমন স্কিল শেখাচ্ছেন, যা বড় হয়ে সন্তানের কাজে লাগবে। তবে অনেকেই সন্তানকে পরিবেশ সচেতন করে গড়ে তোলার বিষয়টি উপেক্ষা করে যান। কিন্তু বর্তমান যুগের নিরিখে সন্তানকে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে ও যত্ন নিতে শেখানোও খুব জরুরি হয়ে পড়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ নানান সমস্যায় ঘিরে রয়েছে পৃথিবী। তিনি আরও বলেন, পরিবেশের সুস্থতার ওপর মানবজাতির অস্তিত্ব নির্ভর করছে। তাই আর দেরি নয়। সন্তানকে পরিবেশ সচেতন করে গড়ে তোলার বিষয়টি শুনতে জটিল মনে হলেও, সহজেই এটি করা যায়। ছোটবেলায় বাচ্চাদের পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে, ধীরে ধীরে এটিই হয়ে উঠবে তাদের বৈশিষ্ট্য ও অভ্যাস। বর্তমান ও ভবিষ্যতে পরিবেশ সচেতন নাগরিকের প্রয়োজন পড়বে অনেক বেশি। তিনি আজ কসবেশ্বরী মায়ের মন্দির পরিসরে এমন একটি সুন্দর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আজকের এই কর্মসূচিতে অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কমলাসাগর কেন্দ্রের বিধায়িকা অন্তরা সরকার দেব, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, সিপাহীজলা জেলার জেলা শাসক বিশাল কুমার, সিপাহীজলা জেলার জেলা বন আধিকারিক প্রীতম ভট্টাচার্য্য, ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের ত্রিপুরার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ম্যানেজার অজয় কৃষ্ণা, ত্রিপুরা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তপন কুমার দাস, সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার বিজয় রেড্ডি, বিশালগড় মহকুমার মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস,বিশালগড় ব্লকের বিডিও অনুরাগ সেন, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্নালাল সেন, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ১৫০ নং ব্যাটালিয়নের আধিকারিক সুরিন্দর কুমার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

 

 

Exit mobile version