জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমও চালু রয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর কিশোরীদের জন্মগত সমস্যা গুলি চিহ্নিত করে বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক ত্রিপুরা শাখার বার্ষিক রাজ্যভিত্তিক কনফারেন্সের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক ত্রিপুরা শাখার বার্ষিক রাজ্য ভিত্তিক কনফারেন্স হয় শনিবার। রাজধানীর আইএমএ হাউসে কনফারেন্সের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ সঞ্জীব দেববর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য মিশন অধিকর্তা সহ অন্যান্যরা। কনফারেন্সে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশু বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমান শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। দেশের ভবিষ্যৎ শিশু বিশেষজ্ঞদের হাতে। শিশুদের শারীরিক মানসিক বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য সরকার পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে রাজ্য ভিত্তিক স্কুল হেলথ মিশন চালু করেছে। ১২৫ টি বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে প্রথমে এই প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। সফলতা পাওয়া গেলে রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয় গুলিও এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে এই মিশন চালু করা হয়েছে। ৬ টি পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে এই মিশন চালু করা হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশুর অভিযান চলছে রাজ্য জুড়ে। রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমও চালু রয়েছে। এই কার্যক্রমের মধ্যমে শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর কিশোরীদের জন্মগত সমস্যা গুলি চিহ্নিত করে বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
অ্যানিমিয়া মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে কর্মসূচি। টি-৩ ক্যাম্প করা হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বলেন সচেতনতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।