জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বইমেলা হলো জ্ঞান ও মননের মেলা। বইমেলার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে। একটি বই সমাজকে বদলে দিতে পারে। আজ বিশালগড় টাউন উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৫তম বিশালগড় বইমেলার উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বই জ্ঞানের আলোকে প্রসারিত করে। বই আমাদের সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাসকে ধরে রাখে। উল্লেখ্য, ‘আমার মেয়ে আমার অহংকার’ এই থিমকে সামনে রেখে চারদিন ব্যাপী ১৫তম বিশালগড় বইমেলা শুরু হয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিশালগড় বইমেলা সমাপ্ত হবে।
বইমেলার উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। সভ্যতা ও বিজ্ঞান যতই বিকশিত হোক বইয়ের প্রয়োজন কখনও শেষ হবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সমাজে প্রত্যেকের উচিত ছেলেমেয়েদের হাতে বই তুলে দেওয়া। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিকাশের কথা আমরা বই পড়েই জানতে পারি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট ও মোবাইলের যুগে বইয়ের আকর্ষণ কমেনি। নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করে তুলতে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অতসী দাস, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তপন দাস, সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক রিঙ্কু লাথের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশালগড় পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অঞ্জন পুরকায়স্থ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশালগড় মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক দেবযানী চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অতিথিগণ বিশালগড় বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন। চারদিন ব্যাপী বিশালগড় বইমেলায় ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড, অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ মোট ১৮টি বইয়ের স্টল খোলা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ বইমেলার স্টলগুলি পরিদর্শন করেন। বইমেলা উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবি সম্মেলন, আলোচনাচক্র ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।