জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের সাহিত্য জগতে নক্ষত্র পতন। পরিসমাপ্তি ঘটলো একটি অধ্যায়ের। রবিবার প্রয়াত হলেন বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত সাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক শ্যামল চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া। একসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা শ্যামল চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের তরফে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি এই সম্মাননা গ্রহণ করেছিলেন।
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক শ্যামল চৌধুরী শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বিকাশে অবদানের জন্য বিশেষ সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মাননাসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন। কয়েকদিন ধরে শ্যামল চৌধুরী আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবশেষে সোমবার সকালে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সাহিত্যিক শ্যামল চৌধুরী।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই কবি- সাহিত্যিক- রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় আস্তাবলস্থিত তার নিজ বাসভবনে।বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। সেখানে শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ অনেকে। ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ সহ বিশিষ্টজনেরা।
সেখান থেকে প্রয়াতকে নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনের সামনে।কবি-সাহিত্যিক সহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পশ্চিম লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে,সমীরণ রায়, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। রবীন্দ্র ভবন থেকে শ্যামল চৌধুরীর শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বটতলা মহাশ্মশানে।
সেখানে শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়।এদিকে তারা প্রয়াতের স্মৃতির প্রতি শোক প্রকাশ করে বলেন, শ্যমাল চৌধুরীর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। তা আর পূরণ হওয়ার নয়। শ্যামল চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।