জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- সাম্প্রতিক সময় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও এবং তাকে ঘিরে বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। বৃহস্পতিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানান— “পুরো ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।”
মন্ত্রী জানান, প্রায় দুই মাস ধরে একটি ওয়েব পোর্টালের তরফে সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছিল। সরকারি কাজের ব্যস্ততার কারণে তিনি সময় দিতে পারেননি। অবশেষে কিছুদিন আগে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় বরাদ্দ করেন। সাক্ষাৎকার শেষে ওই সাংবাদিক, তার স্বামী ও সন্তানসহ উপস্থিত হয়ে জানান যে, মন্ত্রীর তিনটি দপ্তরের কর্মসূচি নিয়মিতভাবে তাদের ওয়েবসাইটে প্রচার করা হবে, তবে এর বিনিময়ে বছরে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, “আমি তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম— এত টাকা সোর্স কোথায়?” এই কথাটিই গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করে বিকৃতভাবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তাঁর অভিযোগ, “ভিডিওর কেবল একটা অংশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়। পুরো কথোপকথন প্রকাশ করা হলে সত্যতা স্পষ্ট হয়ে যেত।”
এদিন মন্ত্রী বলেন, “একজন মন্ত্রী হিসেবে আমাকে অপমান ও হেয় করার জন্য এটা সুপরিকল্পিত রাজনীতি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
সুধাংশু দাসের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী শুধু রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগতভাবেও তাকে এবং তার পরিবারকে আক্রমণ করছেন। “একজন মা’কে নিয়ে যেভাবে কটূক্তি করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়”— মন্তব্য মন্ত্রীর।
সেই সঙ্গে তিনি জিতেন্দ্র চৌধুরীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “আমার ভাইকে নিয়ে আপনি যেসব অভিযোগ করেছেন, ২৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রমাণ দিন। প্রমাণ দিতে না পারলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “বাম আমলে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, সেই সময়ের কেলেঙ্কারি এখনও জনগণের মনে তাজা। অথচ আজ সেই শিবিরের নেতারা নীতিকথা শোনাচ্ছেন।”
শেষে মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন— “বিরোধী দল যদি আমার বিরুদ্ধে একটিও দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারে, আমি শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, রাজনীতিও ছেড়ে দেব। কিন্তু ভিত্তিহীন অপপ্রচারে আমি নীরব থাকব না।”

