জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা রাজ্যের ঐতিহ্যময় কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ খোয়াইয়ে হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানে তিরঙ্গা যাত্রার উদ্বোধন করে এই আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের কথা তুলে ধরা দেশের নাগরিকদের অন্যতম কর্তব্য। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে দেশব্যাপী হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই থেকে সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
সুসজ্জিত ভারত মাতার হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এই বর্ণাঢ্য তিরঙ্গা যাত্রার উদ্বোধন করেন। খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করা হয়। তিরঙ্গা যাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ছাড়াও জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, খোয়াই জেলার জেলাশাসক চান্দনী চন্দ্রন, জেলার পুলিশ সুপার ডা. রমেশ যাদব প্রমুখ অংশ নেন। তিরঙ্গা যাত্রাটি রামচন্দ্রঘাট বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রামচন্দ্রঘাট বটতলি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এক জমায়েতে মিলিত হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২ বছরের মতো এবারও রাজ্যে হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যস্তর থেকে শুরু করে জেলা ও মহকুমাগুলিতেও দেশাত্মবোধের ভাবনাকে তুলে ধরতে তিরঙ্গা যাত্রা, তিরঙ্গা র্যালির মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে রাজ্যের বিকাশে ও জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য সবকা সাথ সবকা বিকাশ। রাজ্যের সার্বিক বিকাশে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র, পর্যটন ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় গড়ে উঠেছে হীরা মডেল। রাজ্যে এখন ৬টি জাতীয় সড়ক রয়েছে। আরও ৪টি জাতীয় সড়ক কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করেছে। স্বনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে মহিলা স্বশক্তিকরণ রাজ্য সরকারের সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে। জনজাতিদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়ন ও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনজাতিদের কল্যাণে রাজ্যের ১২টি অ্যাসপিরেশনাল ব্লক সহ ২৩টি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় ১,৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। তিরঙ্গা যাত্রা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য জেলাশাসক চান্দনী চন্দ্রন।