জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সকালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পে দেশের ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্বিকাশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পে রেলওয়ে স্টেশনগুলি বিশ্বমানের হয়ে উঠবে। এজন্য ব্যয় হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী আজ যে ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্বিকাশে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সেগুলির মধ্যে ত্রিপুরায় ৩টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। পুনর্বিকাশের জন্য প্রস্তাবিত রাজ্যের রেলওয়ে স্টেশনগুলি হলো উদয়পুর, কুমারঘাট ও ধর্মনগর। রাজ্যের এই তিনটি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্বিকাশের জন্য ব্যয় হবে ১৬ কোটি টাকা। এ উপলক্ষে উদয়পুর, কুমারঘাট ও ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
উদয়পুর রেল স্টেশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা। এ উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন এসেছে। অ্যাক্ট ইস্ট পলিসিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তাছাড়াও প্রতিবেশি বাংলাদেশের সাথে রাজ্যের শীঘ্রই একাধিক সড়কপথ এবং রেল ও বিমান যোগাযোগ শুরু হবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পে রাজ্যে তিনটি স্টেশনকে আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে রাজ্য থেকে দেশের বিভিন্ন বড় শহরগুলিতে পৌঁছানো সহজ হয়েছে। রাজ্যের উত্তরের ধর্মনগর থেকে দক্ষিণের সারুম পর্যন্ত রেলের মাধ্যমেই এখন যাতায়াত করা যায়। উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, মুখ্যসচিব কে সিনহা, রেলের ডিভিশনাল রিজিওনাল ম্যানেজার প্রেমরঞ্জন কুমার, পদ্মশ্রী বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়া প্রমুখ।
ধর্মনগর রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তাধারায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন প্রদ্যুৎ দে সরকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেলের লামডিং ডিভিশনের কমার্শিয়াল ম্যানেজার রমেশ কুমার মাহাতো। ধর্মনগর রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণে বায় হবে ৩২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷
কুমারঘাট রেল স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী সুধাংশু দাস। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। অনুষ্ঠানে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন, সারা দেশে রেল পরিষেবার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস। কুমারঘাট রেল স্টেশন আধুনিকীকরণের জন্য ব্যয় হবে ৩০ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা।
এই প্রকল্পে রেল স্টেশনগুলিতে রুফ প্লাজা, শপিং জোন, ফুড কেটি, মাল্টি লেভেল পার্কিং, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, ওয়েটিং এরিয়া, দিব্যাঙ্গজন অনুকূল সুবিধা, এসকেলটর, লিফটের ব্যবস্থা করা হবে। স্টেশনগুলি সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র হয়ে উঠবে।