জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- উৎসে দাম বাড়ার ফলেই পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের। তবে শীঘ্রই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কিছুদিন নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ফের একলাফে পেঁয়াজের দর ডাবল হয়ে গিয়েছে। ২০ টাকা থেকে বর্তমানে পেঁয়াজের দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে কোথাও ৪০ টাকা কোথাও আবার ৫০ টাকা। যদিও এই সময়ে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অফুরন্ত আলুতে পচন ধরছে কিছু কিছু উপায়কারী দোকানে। যার ফলে আলুর দাম এখনো ২০ টাকা কিলো দরেই বিক্রি হচ্ছে। গৃহস্থের মাথায় হাত পেঁয়াজের দাম নিয়ে। বাজারে চড়া মূল্য বৃদ্ধির খবর চাউর হতেই মাঠে নেমে পড়েছে খোদ খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী। শুক্রবার সদর মহকুমা এসডিএম অফিসের ডিসিএমদের নিয়ে পুলিশ প্রশাসন সহ রাজধানীর বড়বাজার মহারাজগঞ্জ বাজারে তদন্তে নেমেছে খাদ্য অধিদকর্তা। বেশ কিছু পাইকারি দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, উৎসে অর্থাৎ নাসিকে বন্যা হওয়ার হলে সেখান থেকে পেঁয়াজ আসছে না রাজ্যে। যার ফলে রাজ্য অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে পেঁয়াজের।
এদিকে দোকানদারদের বক্তব্য, পাইকারি ঘর থেকে তারা ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা ধরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তারপরেও চাহিদা মত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি ঘরে ১০ বস্তা পেয়াজ কিনতে গেলে দিচ্ছে মাত্র পাঁচ বস্তা। যার ফলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে তাদেরও আর করার কিছু থাকছে না। এদিকে ক্রেতা সাধারণ দুর্মূল্যের বাজারে চাহিদার থেকে কম করে কিনতে হচ্ছে জিনিসপত্র। আগে যেখানে এক কিলো পেজ ক্রয় করত, বর্তমানে সেখানে আধা কিলো পেজ ক্রয় করছে। এদিকে আলু বিক্রেতাদের আবার মাথায় হাত। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা দরে, তারপরেও আবার বর্ষায় আলুতে ভীষণ পচন ধরেছে। ক্ষতির মুখে ব্যবসায়িরাও কোন কিছু প্রশ্ন করলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। তবে খাদ্য অধিকর্তার আশ্বাস, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পেজের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। নাসিকে বর্তমানে বন্যা কমছে , কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে পেঁয়াজ ঢুকে যাবে। তখন দাম পূর্বের ন্যায় ফিরে আসবে। খাদ্য দপ্তর ও তার ওপর নজর দাড়ি রেখে চলেছে। প্রসঙ্গত মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী খাদ্য দপ্তর এর দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর থেকেই রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের প্রায় সবকটি বাজারেই খাদ্য দপ্তরের মাধ্যমে কড়া নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে। বসে নেই খাদ্য দপ্তরের কর্মীরাও। তারা প্রতিনিয়ত বাজার গুলিতে নজরদারি করছে।