জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজধানীর লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ির ঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে পূর্ব পুরুষের তর্পণে মগ্ন হয় সাধারণ মানুষ । পিতৃপক্ষের শেষ দিনে পুরাণিক মতে সব স্থানে তর্পণ অনুষ্ঠিত হয় । এ নিয়ে রয়েছে নানান লোক কথা । কোনও শুভ কাজ আরম্ভ করতে হলে আগে পূর্বসূরিদের উদ্দেশ্যে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী উত্তরসূরিদের তর্পণ করতে হয়। অঞ্জলি সহ অন্যান্য নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। খুশি করার অপর নাম হল তর্পণ। শ্রীলঙ্কা বিজয়ের আগে রামচন্দ্র সেটাই করেছিলেন মহালয়ার দিন। মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে বহু বছর ধরে আমাদের দেশে কোটি কোটি মানুষ ময়া দত্তেন তোয়েন তৃপ্যান্ত ভুবনত্রয়ম, আব্রহ্ম স্তম্ভ পর্যন্তং তৃপ্যন্তু মন্ত্র উচ্চারণ করে তিন গণ্ডুষ জল প্রদান করেন তাঁদের পূর্বসূরিদের উদ্দেশ্যে।অন্যদিকে, এদিন দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এমনটাই মনে করা হয় পুরাণ মতে। মহিষাসুরকে ব্রহ্মা বর দিয়েছিলেন যে তাঁকে কোনও মানুষ বা দেব হত্যা করতে পারবে না। এর ফলে সে হয়ে ওঠে অসীম ক্ষমতাশালী। তিনি দেবলোক থেকে দেবতাদের তাড়িয়ে সেখানের রাজা হয়ে বসতে চান। তখন মহামায়া নামক এক দারুন নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন ত্রিদেব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। তাঁরা দেবীকে দিলেন নানান অস্ত্র। এরপর দেবী সুসজ্জিত হয়ে নয়দিন ধরে মহিষাসুরের সঙ্গে লড়াই করে তাঁকে অবশেষে পরাজিত করেন এবং সঙ্গে হত্যাও করেছেন। পুরানে কথিত আছে ব্রহ্মার নির্দেশে পূর্বপুরুষরা এই দিন মর্তের কাছাকাছি এসে যায়। সেই থেকেই মানুষ পূর্বপুরুষের তর্পনের মেতে ওঠে।প্রতিবছর রাজধানীর লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ির দীঘি , হাওড়া নদীর বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের । তর্পণ উপলক্ষে কিছু কিছু ঘাটে মেলাও বসে পড়ে ।