Site icon janatar kalam

পাকিস্তান যদি গুলি চালায়, ভারত আরও জোরালোভাবে জবাব দেবে: মোদী

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটাতে ১০ মে সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিজেদের নির্লজ্জতা আবার বিশ্বের সামনে এনেছে শরিফের দেশ। অদ্ভুতভাবে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জারি করা হয় লাল সতর্কতা। জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়। একইসঙ্গে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজস্থানের পোখরান এবং কাশ্মীরের বারামুল্লায় একাধিক পাকিস্তানি ড্রোনকে প্রতিহত করে। 

এই প্রসঙ্গে, ভারত রবিবার জানিয়েছে যে অপারেশন সিঁদুর চলছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে পাকিস্তান যদি গুলি চালায়, ভারত আরও জোরালোভাবে জবাব দেবে। পাকিস্তান যদি থামে, ভারত থামবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর। পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা কেবলমাত্র ডিজিএমও-দের মাধ্যমেই হবে, অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার নয়াদিল্লিতে তাঁর বাসভবনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। চার দিনের সামরিক সংঘাতের পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর একদিন পর এই বৈঠক হয়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কয়েক ঘন্টা পর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জলসম্পদ বণ্টন এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যার মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য “শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ” বেছে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রবিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। যদিও শনিবার ভারত ও পাকিস্তান স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কয়েক ঘন্টা পরে পাকিস্তান একাধিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। শনিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ড্রোন দেখা গেছে, তারপরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে এই লঙ্ঘন মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার এবং গুরুত্ব ও দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতির উপর কঠোর নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সীমান্ত লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তির যে কোনও ঘটনা কঠোরভাবে মোকাবেলা করার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

Exit mobile version