পাকিস্তানকে গোপন সামরিক নথি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ভারতীয় সেনার জওয়ান
janatar kalam
জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় তথ্য ফাঁস। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে গোপন সামরিক নথি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ভারতীয় সেনার জওয়ান দেবেন্দ্র সিংহ। চলতি সপ্তাহে। জম্মু-কাশ্মীরের উরি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশের স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জওয়ানের নাম দেবেন্দ্র সিংহ, পঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলার নিহালগড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে গোপন ও সংবেদনশীল সামরিক নথি পাচার করতেন। গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, এই ঘটনা প্রথম নয়। এরআগেও পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন সেনাসদস্য গুরপ্রীত সিংহ ওরফে গুরি ওরফে ফৌজি-কে আটক করেছিল পুলিশ।
বর্তমানে তিনি ফিরোজপুর জেলে বন্দি। তদন্তে উঠে এসেছে, দেবেন্দ্র ও গুরপ্রীতের সম্পর্ক ২০১৭ সাল থেকে, যখন তাঁরা পূণের একটি সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেই সময় থেকেই দুই জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এরপর তাঁদের পোস্টিং হয় সিকিম ও পরে জম্মু-কাশ্মীরে, যেখানে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান তাঁরা। তখন থেকেই তাঁরা মিলিতভাবে গোপন সামরিক নথি সংগ্রহ করে আইএসআই-এর কাছে পাচার করতে শুরু করেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, গুরপ্রীতকে জেরা করেই দেবেন্দ্রের নাম উঠে আসে। গোপন সামরিক নথিপত্র জোগাড় করার চক্রে দেবেন্দ্র সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ইতিমধ্যে মোহালির আদালতে তাঁকে হাজির করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা-ও পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ধরা পড়েছেন। তাঁর পর থেকে একের পর এক সরকারি কর্মচারি, ইনফ্লুয়েন্সার, শিক্ষক-সহ নানা পেশার মানুষ পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হল সেনা জওয়ান দেবেন্দ্র সিংহের নাম। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, দেবেন্দ্র সিংহ ঠিক কী কী গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আর কেউ এই চক্রে যুক্ত রয়েছে কি না। পাচার করা নথিগুলি কোন স্তরের সামরিক তথ্য ছিল। বলা বাহুল্য, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁস . নিঃসন্দেহে উদ্বেগের কারণ। তাই ভবিষ্যতে আরও চক্র ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।