Site icon janatar kalam

পরিবর্তনের আবহে রাজ্যেও পালিত উচ্ছ্বাসীন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- উচ্ছাস আর আবেগে বেশ কিছুটা যেন ভাটার আবহেই শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের কার্যালয়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধ নিমিত করা হয় ও আস্হায়ী শহিদবেদীতে মাল্যদান করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান সহকারী হাই কমিশনের কার্যালয়ের আধিকারিকরা।

উপস্হিত ছিলেন রাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সারা বিশ্বে এদিন মানুষ তার মাতৃভাষাকে প্রাণের আবেগে স্মরণের আয়োজন করবে। কিন্তু এই দিবস উদযাপন নিয়ে বাংগালীরা একটু বেশিই উদ্দীপিত হয়ে উঠে। এর কারণও অবশ্য যথাযথই। কারণ বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বসন্তের ঝড়া পাতার মতোই দুর্বার রক্ত ঝরা আন্দোলন সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালিরা।

স্বেচ্ছায় প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন বরকতরা। আর এই আন্দোলনে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আর নিজের মাতৃভাষা রক্ষায় বাঙালির এই দৃঢ়তাকে মর্যাদা দিতে রাষ্ট্রসংঘ ২ হাজার সাথে ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা রূপে। এই কারণেই এই মাতৃভাষাকে নিয়ে বাঙালির প্রাণের আবেগ প্রাণের বাসনা বরাবরই একটু বেশি।

অন্যান্য বছরে মতো এবারও রাজ্যে শুক্রবার পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই উপলক্ষে এদিন সকালে মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে। এদিন বাংলাদেশের সরকারি হাইকমিশনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অর্ধ নিমিত করা হয়। এই উপলক্ষে সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্য দান করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

কিন্তু এই ভাষার মর্যাদা রক্ষায় যারা হাসতে হাসতে প্রাণ বলিদান করেছিলেন সযত্নে তাদের নাম উচ্চারণ এড়িয়ে যান ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সরকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এই বিষয়টি উপস্থিত সকলকে ব্যথিত করে তুলেছে।এদিন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এই অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে।

 

এদিন সহকারি হাইকমিশনের কার্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হলেও বদলের বাংলাদেশের আবহে রাজ্যেও এদিন ভাষা দিবস উদযাপন নিয়ে প্রাণের আবেগ এবং বাসনা প্রতিফলিত হতে দেখা যায়নি। এদিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপনে এই উচ্ছাসীন ভাবটা যেমন আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বিকটভাবে পরিলক্ষিত হয় ঠিক তেমনি বাহ্যিক ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো ।বিভিন্ন মহলের অভিমত ,পরিবর্তনের বাংলাদেশের আবহে একটি অবাঞ্চিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় চত্বরে নিরাপত্তার এই বজ্র আঁটুনি।

Exit mobile version