Site icon janatar kalam

পরিত্যক্ত জলাশয়গুলিকে উদ্ধার করে মাছ চাষের আওতায় আনার নির্দেশ মৎস্যমন্ত্রীর

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ দায়িত্ব নিয়ে, সততার সাথে সময়মতো শেষ করতে হবে। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক প্রাণীসম্পদ বিকাশ, তপশিলি জাতি কল্যাণ ও মৎস্য দপ্তরের উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা বৈঠকে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। তিনি দপ্তরের আধিকারিকদের প্রতিটি ব্লক এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরের অসম্পূর্ণ কাজগুলি যেমন শেষ করতে হবে, তেমনি চলতি অর্থবছরের কাজগুলিও শীঘ্রই বাস্তবায়িত করতে হবে। পরিত্যক্ত জলাশয়গুলিকে উদ্ধার করে মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন।

পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিনারাণী সরকার, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. বিশাল কুমার। এছাড়া বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানগণ, মৎস্য, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ও আধিকারিকগণ এবং বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পর্যালোচনা বৈঠকে তিনটি দপ্তরের আধিকারিকগণ নিজ নিজ দপ্তরের বিগত দিনের বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি তুলে ধরেন এবং চলতি বছরের প্রকল্পগুলি রূপায়ণ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিক জানান, গত অর্থবছরে পোল্ট্রি ফার্ম, হাঁস, মুরগী, ছাগল ও গাভী পালনে ১০০ শতাংশ কর্মসূচিই বাস্তবায়িত হয়েছে। চলতি বছরেও সেসব প্রকল্পে নির্বাচিত প্রাণীপালকদের সহায়তা দেওয়ার কাজ চলছে। সেইসাথে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত জেলার ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৮০টি গবাদি প্রাণী ও পাখির চিকিৎসা করে ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকও সভায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

 

 

Exit mobile version