জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল ভারত। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নাসিকের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর নতুন উৎপাদন ইউনিট থেকে প্রথম তেজস LCA Mk1A যুদ্ধবিমানের উদ্বোধন করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি HTT-40 প্রশিক্ষণ বিমানের জন্য দ্বিতীয় উৎপাদন লাইনও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, নাসিক বিভাগে প্রস্তুত হওয়া সুখোই-৩০, LCA ও HTT-৪০ বিমানের উড্ডয়ন দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উড্ডয়নকেই প্রতিফলিত করছে। তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে দেশের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো, কিন্তু এখন সেই চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে— বর্তমানে প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দেশেই তৈরি হচ্ছে।
রাজনাথ সিং বলেন, তেজস LCA Mk1A যুদ্ধবিমানের প্রথম উড্ডয়ন দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আত্মনির্ভর ভারতের যাত্রায় এক বিশাল মাইলফলক। তিনি HAL-এর নাসিক কেন্দ্রের প্রশংসা করে বলেন, গত ছয় দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন শক্তিকে মজবুত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে আসছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজ তেজস LCA Mk1A-এর প্রথম উড্ডয়ন প্রত্যক্ষও করেন।
তেজস LCA Mk1A হলো একটি আধুনিক, বহুমুখী যুদ্ধবিমান যা ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১ বিমানের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এটি তেজসেরই উন্নত সংস্করণ, যেখানে রয়েছে আধুনিক যুদ্ধবিমান-সক্ষম অ্যাভিওনিক্স, এয়ার-টু-এয়ার রিফুয়েলিং, এবং উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থার সুবিধা। ৪.৫ প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানটি আকাশ প্রতিরক্ষা, স্থল আক্রমণ ও নৌ অভিযানে সমানভাবে কার্যকর।
তেজস Mk1A বিমানটি নানাবিধ মিশন প্রোফাইলের জন্য উপযুক্ত অস্ত্র ও পে-লোডস বহনে সক্ষম — আকাশসীমা রক্ষা থেকে শুরু করে শত্রু ঘাঁটিতে হামলা বা নজরদারির মতো বহুমুখী কার্যক্রমে এটি ব্যবহার করা যাবে।