Site icon janatar kalam

নালন্দায় রাহুল গান্ধীর মোদীকে কড়া আক্রমণ: “ইন্দিরা গান্ধীর ছিল সাহস, মোদী কাপুরুষ”

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বিহারের নালন্দায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করে একের পর এক তীব্র আক্রমণ শানালেন। একাধিক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধে আমেরিকা তার সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল ভারতকে ভয় দেখানোর জন্য। তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি বলেছিলেন— ‘আমরা আমেরিকার নৌবাহিনীকে ভয় পাই না, যা ইচ্ছে করো, আমরা আমাদের কাজ করব।’ ইন্দিরা গান্ধী একজন নারী ছিলেন, কিন্তু তাঁর সাহস ও শক্তি ছিল এই তথাকথিত ‘মর্দ’ নরেন্দ্র মোদীর চেয়ে অনেক বেশি। মোদী একজন কাপুরুষ— না তাঁর কোনো দৃষ্টি আছে, না তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সামনে দাঁড়াতে পারেন।”

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “যদি মোদীর সাহস থাকে, তাহলে বিহারের কোনো সভায় দাঁড়িয়ে বলুন— আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মিথ্যা বলছেন। বলুন আপনি ‘অপারেশন সিন্দুর’ বন্ধ করেননি। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি— তিনি এটা বলতে পারবেন না।”

রাহুল গান্ধী বলেন, আজ দেশের বাস্তবতা হলো— ভারতে দুটি অংশ তৈরি হয়েছে। “একটা ভারত আদানি–অম্বানি–মোদীর, আরেকটা ভারত আমাদের সবার। এই দ্বিতীয় ভারতে আপনি যতই চেষ্টা করুন, চাকরি পাবেন না। কারণ মোদী চান আদানি-অম্বানির মতো লোকেরা চীনের পণ্য এনে বিহারের মানুষকে বিক্রি করুক।”

তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে ধনকুবেরদের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজেপি সরকার।

“অমিত শাহ বলেন— শিল্প স্থাপনের জন্য জমি নেই। কিন্তু আদানিকে এক টাকায় জমি দেওয়া হয়। কৃষকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার জমি কেড়ে বিনামূল্যে বিলিয়নেয়ারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে,” বলেন রাহুল।

বিহারের স্বাস্থ্য পরিষেবার দুরবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা, বিহারের হাসপাতালে মানুষ বাঁচতে যায় না, মরতে যায়— এটাই আপনার সরকারের বাস্তবতা,” অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, “একদিকে আছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, যাঁর হাতে নিতীশ কুমারের রিমোট কন্ট্রোল। বিহারের সরকার আসলে চালাচ্ছেন মোদী, অমিত শাহ এবং নাগপুর।”

রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “দুটি ভারত গড়ে উঠেছে। ছট্‌পূজার সময় মোদী সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি যমুনায় স্নান করবেন। কিন্তু বাস্তবতা কী? যমুনা নদী নোংরা, দূষিত। তাই মোদীর জন্য আলাদা করে পাইপের মাধ্যমে পরিষ্কার জল আনা হয়েছিল, ছোট্ট একটি কৃত্রিম পুকুর বানানো হয়েছিল যাতে তিনি স্নান করতে পারেন। একদিকে সাধারণ মানুষ দূষিত জলে ভুগছে, আর অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নিজের জন্য আলাদা জল তৈরি করাচ্ছেন।”

রাহুলের বক্তব্যে নালন্দার সভামঞ্চে উপস্থিত জনতা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি দাবি করেন, “এই দেশের যুবকরা আজ বুঝে ফেলেছে— এই সরকার কেবল ধনীদের সরকার, সাধারণ মানুষের নয়।”

Exit mobile version