জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- নবম জাতীয় হস্ততাত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনের ১ নং হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং হস্ততাত, হস্তকার ও রেশম শিল্প দপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নয়াদিল্লিতে নবম জাতীয় হস্ততাঁত দিবসের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। নয়াদিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বজ্রমন্ত্রী পিযুষ গেয়েল, কেন্দ্রীয় মাইক্রো, স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রী নারায়ণ রাগে, কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম ক্তরদোশ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় হস্ততাঁত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে হস্ততাত ও হস্তকার উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী বলেন, হস্ততাঁত, হস্তকারু ও রেশম শিল্প শিল্পীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এতে রাজ্যের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় হয়। তিনি বলেন, রাজ্যে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪৫ জন হস্ততাঁত শিল্পী রয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকার হস্ততাঁত বস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হয়৷ রাজ্যে উৎপাদিত শিল্পসামগ্রী বাজারজাতকরণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তবো হস্ততাত, হস্তকার এবং রেশম শিল্প দপ্তরের অধিকর্তা এস প্রভু বলেন, জাতীয় হস্ততাত দিবস রাজ্যের হস্ততাত, হস্তকারু এবং রেশম শিল্পীদের উৎসাহ যোগাবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের আগরতলাস্থিত তন্তুবায় সেবাকেন্দ্রের উপঅধিকর্তা লক্ষণ চন্দ্র বসাক ও হস্তকার সার্ভিস সেন্টারের সহঅধিকর্তা রীমা সোনার৷
অনুষ্ঠানে এবছর রাজ্য হস্ততাত শিল্পে ১ম দিপালী দেববর্মাকে ১০ হাজার টাকার চেক, শংসাপত্র, ২য় ঊষারাণী দেববর্মাকে ৭৫০০ টাকার চেক, শংসাপত্র এবং ৩য় ধনীতা চাকমাকে ৫০০০ টাকার চেক ও শংসাপত্র দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। হস্তকারু শিল্পে ১ম রঞ্জিত দাসকে ১০ হাজার টাকার চেক, শংসাপত্র, ২য় বিজয় সুত্রধরকে ৭৫০০ টাকার চেক, শংসাপত্র এবং ৩য় কাজল সুত্রধরকে ৫ হাজার টাকার চেক ও শংসাপত্র দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। রেশম শিল্পে ১ম ঊষা দেববর্মাকে ১০ হাজার টাকার চেক, শংসাপত্র, ২য় বিলক্ষ্মী রূপিনীকে ৭৫০০ টাকার চেক, শংসাপত্র এবং ৩য় গঙ্গারূপিনীকে ৫ হাজার টাকার চেক ও শংসাপত্র দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। অন্যান্য শিল্পীদের দেওয়া হয় পরিচয়পত্র ও ট্রেনিং সার্টিফিকেট। এছাড়া সম্ভ কবীর পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী স্মৃতি রেখা চাকমাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। আয়োজিত হয় মতবিনিময় অনুষ্ঠান। আলোচনাচক্রে হস্ততাত, হস্তকারু ও রেশম শিল্প দপ্তরের উপঅধিকর্তা শ্যামাচরণ দেববর্মা ছাড়াও বহু হস্ততাত, হস্তকার এবং রেশম শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সকলকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন হস্ততাত, হস্তকার এবং রেশম শিল্প দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা নিমাই মুড়াসিং।