জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রতি বারের ন্যায় এবারও বাংলা নববর্ষে উপলক্ষে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সরকারি মূল্যে প্রায় ৬ হাজার কেজি মাছ বিক্রয় করা হবে। এজন্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ২১টি মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র খোলা থাকবে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস।
নর্ববর্ষ উপলক্ষ্যে বাজারে এদিন মাছের দাম বেশি থাকে। প্রতি বারের ন্যায় এবারও বাংলা নববর্ষে উপলক্ষে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সরকারি মূল্যে প্রায় ৬ হাজার কেজি মাছ বিক্রয় করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানান মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস। দপ্তরের নিজস্ব ফার্ম ও সমবায় সমিতির মৎস্য ফার্মের মাধ্যমে ২১টি সেন্টারে এই মাছ বিক্রয় করা হবে। এবছর ৪ থেকে ৫ রকমের মাছ বিক্রয় করা হবে। থাকবে রুই, কাতল, কার্প, মৃগেল ও সিলভারকার্প।
মাছের বিক্রয়মূল্য নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক কেজি ওজনের নিচে বিক্রি করা হবে ২২০ টাকা প্রতি কেজি দরে, ১ থেকে ২ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি করা হবে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে এবং ২ কেজির উপর ওজনের মাছ বিক্রি করা হবে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। মন্ত্রী অরো জানান নর্ববর্ষ উপলক্ষ্যে ত্রিপুরা এপেক্স ফিসারিজ কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অধীনে মহারাজগঞ্জ বাজারে অতি সূলভ মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হবে।
এখান থেকে কম দামে মাছ ক্রয় করতে পারবেন আম জনতা। এখান থেকে অতি সূলভ মূল্যে ইলিশ মাছ ক্রয় করতে পারবেন। ইলিশ মাছ ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের নিচে বিক্রি করা হবে ১২০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা দরে সাধারণ মানুষ কিনতে পারবেন।
ত্রিপুরা সরকারের এই পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ ভীষণ খুশি হবেন বলে আশা ব্যক্ত করে বলেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সরকারিভাবে নববর্ষের দিন মাছ বিক্রি করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ মাছ কিনতে পারছেন না। সরকারি দপ্তরের কর্মচারী ও তাদের আত্মীয় পরিজনদের কাছে মাছ চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।