জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতে প্রায় ১০.৬ কোটি পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যের এলপিজি (গ্যাস) ব্যবহার করছে। পাশাপাশি প্রতিদিন প্রায় ৬.৭ কোটি মানুষ তাঁদের গাড়িতে জ্বালানি ভরছেন, যা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ও এলপিজি ভোক্তা দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রবিবার সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ (পূর্বতন টুইটার)-এ এক পোস্টে পুরি বলেন, “ভারত গভীর সমুদ্র অঞ্চলে তেল অনুসন্ধান থেকে শুরু করে সবুজ হাইড্রোজেন ও বায়োএনার্জি পর্যন্ত— প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত একটি নিরাপদ, টেকসই ও আত্মনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে।”
মন্ত্রী জানান, ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানিকারক এবং একটি বিশ্বব্যাপী রিফাইনিং হাব হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, “শক্তি বা এনার্জি শুধু জ্বালানি নয়, এটি নতুন ভারতের হৃদস্পন্দন— যা শিল্পকে শক্তি দেয়, মানুষকে সংযুক্ত করে এবং ১.৪২ বিলিয়ন ভারতীয়র আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।”
পুরি জানান, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও ভারতের জ্বালানি খাত ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের রিফাইনিং ক্ষমতা ২১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২৫৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্রতি বছর (এমএমটিপিএ) হয়েছে। এছাড়া, জামনগর রিফাইনারি এখন এশিয়ার সবচেয়ে বড় রিফাইনারি, যা বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য রপ্তানি করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ওপেন একরেজ লাইসেন্সিং পলিসি (OALP) রাউন্ড-১০ এর অধীনে ২.৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধান প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে— যেখানে আগে ৩৭টি অনুমোদন প্রয়োজন হত, এখন তা কমে ১৮টিতে নেমে এসেছে।
তিনি জানান, আপস্ট্রিম সেক্টরে তেল অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াতে ১.৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ১০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার পূর্বে সীমাবদ্ধ অফশোর এলাকা পুনরায় অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, যা ভারতের তেল ও গ্যাস খাতে নতুন গতি যোগ করেছে।