জনতার কলম,ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি:- কর্মচারীদের কাজে একঘেয়েমি কাটাতে এবং নগদ অর্থের লেনদেন বাড়াতে নতুন এই প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র। রাজ্য, অধিকৃত সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য সুখবর। এলটিসি ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন এরাও । কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বেশকিছু সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল এই এলটিসি ক্যাশ ভাউচার।
অবশ্য কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে কিছুটা আফসোস দেখা যায়। তাদের সেই আফসোস কাটাতে কেন্দ্র এবার এই সুবিধার পরিধি বাড়াল। এর ফলে এলটিসি ক্যাশ ভাউচার মাধ্যমে সুবিধা পাবে রাজ্য সরকার অধিগৃহীত সংস্থা এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীরাও। এই মর্মে অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অ-কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরাও এলটিসির মত আয়কর ছাড় পাবেন । সম্প্রতি কেন্দ্র উৎসবের মরসুমে যাতে কেনাকাটা বৃদ্ধি পেয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে তার জন্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য এলটিসি-র সুবিধাকে নতুন করে সাজিয়েছে । গত ১২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বিষয়ে ঘোষণা করে জানান, দেশের যে কোনও জায়গায় বেড়াতে গেলে বেতনক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে বিমান ভাড়া বা ট্রেনের টিকিটের খরচ দেওয়া পাশাপাশি দেওয়া হবে ডিএ-সহ ১০ দিনের ছুটির টাকাও। আবার করোনা পরিস্থিতির জন্য যাঁরা বেড়াতে যেতে পারেননি, তাঁরা পণ্য ও পরিষেবা কিনলেও সে টাকা ফেরত পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে শর্ত হল জিএসটি ১২% বা তার বেশি হতে হবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে দাম মেটাতে হবে । কেন্দ্রের আশা, এরফলে জিএসটি সংগ্রহও বৃদ্ধি পাবে। আগেইএই প্রকল্প সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রক। জানিয়েছিল, প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে কর্মচারীর নামে একাধিক বিলও জমা করা যাবে। তবে সেই কেনাকাটা করতে হবে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে। আর তারা ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এলটিসি-র পুরো অর্থ যাঁরা খরচ করে উঠতে পারেননি তাঁরা অবশিষ্ট অর্থ দাবি করার জন্য ঘোষিত প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। তবে সেজন্য অর্থবর্ষের শেষের দিকের চাপ এবং হিসেবের জটিলতা কমাতে কর্মচারীদের আগামী ১ মার্চের মধ্যে বিল জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।